-->
শিরোনাম

ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শুরু
এই ভবনে শুরু হয়েছে শান্তি আলোচনা

রাশিয়া ও ইউক্রেনে মধ্যে ইউক্রেন সময় বিকেল ১ টায় শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে।

এই শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিস আজ সোমবার সকালে এক ঘোষণায় বলেন, শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না। তার পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল এ আলোচনা অব্যাহত রাখবে।

এই প্রতিনিধি দলে আছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মাইকোলা তোচিটস্কি।

এদিকে, রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেন সেনারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের চারটি শহর দখল করে নিয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা। সেখানে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

এতে একজন নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো অনেকে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রুশ হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ বেসামরিক লোক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভবন এক বিবৃতিতে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের’ দাবি জানান।

স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতবিার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন পুতিন। তার এ নির্দেশেরে পরই ইউক্রেনে পুরো মাত্রায় হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ তৃতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।

পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে এবং ওই অঞ্চলে শান্তিরক্ষার নামে সৈন্য পাঠানোয় একের পর এক পশ্চিমা নিষেধোজ্ঞার কবলে পড়ছে রাশিয়া।

আক্রমণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাজ্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও নিষেধোজ্ঞা আরোপ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার আক্রমণ থেকে প্রাণে বাঁচতে ইউক্রনের রাজধানী কিয়েভে বসবাসরত নাগরিকদের অনেকে ঘরের স্নানকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রনে আক্রমণের আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিল যে, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের এক থেকে চার দিনের মধ্যে দেশটির রাজধানী দখল হয়ে যেতে পারে।

পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, রাশিয়ার পরিকল্পনা হলো কিয়েভের সরকারকে পতন করা এবং একটি রাশিয়া বান্ধব সরকার গঠন করা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই ইউক্রেনের মেলিটোপল শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই দাবি করেন।

বিবিসি, সিএনএন

 

মন্তব্য

Beta version