-->
শিরোনাম

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে খারসন

* এটা আরেকটা ভাইরাস: জেলেনস্কি * শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের হুংকার ল্যাভরভের * রুশ সৈন্য প্রত্যাহারে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে খারসন
ইউক্রেনের রাজধানী ‍কিয়েভে বৃহস্পতিবার গোলা বর্ষণে একটি আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়। ছবি- রয়টার্স

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন সপ্তাহ পার হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। আরো কিছু শহরে রুশ ও ইউক্রেন বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তবে ছয় দিন লড়াইয়ের পর রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী খারসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর পর এটাই রাশিয়ার দখলে যাওয়া বড় কোনো শহর। শহরটির মেয়র ইগর কোলিখায়েভ জানিয়েছেন, রুশ সেনারা জোর করে সিটি কাউন্সিল ভবনে ঢুকে পড়েছে এবং সেখানে কারফিউ জারি করেছে। যুদ্ধ বিশ্লেষকদের মতে, খারসনের পর রুশ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে আরেক বন্দরনগরী ওডেসা। সেখানে ইউক্রেনের প্রধান বন্দর ও নৌঘাঁটি রয়েছে।

কিয়েভের অভিমুখে ৪০ কিলোমিটারব্যাপী রুশ বাহিনী অগ্রযাত্রা শুরু করলেও তাদের গতি মন্থর হয়ে গেছে। কেন তারা এমন করছে বা তাদের উদ্দেশ্য কী সে সম্পর্কে কেউ কোনো ধারণা দিতে পারছে না। রুশ সৈন্য বহরের অগ্রগতি খুব কম হলেও কিয়েভে তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রুশ হামলাকে ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দুই বছর আগে তার দেশে প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে আরেকটি ভাইরাস আক্রমণ করেছে।

এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, কিছু বিদেশি নেতা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন কিছু হলে মস্কো একেবারে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। ইউক্রেনীয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই এই সংকটের একটি সমাধান পাওয়া যাবে। তবে পারমাণবিক যুদ্ধের কোনো চিন্তা রাশিয়ার নেই।

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ আক্রমণে ইউক্রেন ছেড়ে গেছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সৈন্য সরিয়ে নিতে সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪১টি ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট পড়েছে পাঁচটি এবং ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ৩৫টি দেশ।

অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানিয়েছে, ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু হচ্ছে। আইসিসির ৩৯টি সদস্য রাষ্ট্র এ বিষয়ে তদন্তের অনুরোধ জানানোর পর বুধবার আইসিসির অভিশংসক করিম খান জানান, অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হবে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। চলমান যুদ্ধে দুই পক্ষ থেকেই নিয়মিত হতাহতের তথ্য জানানো হচ্ছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় নয় হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। এছাড়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ২১৭টি ট্যাঙ্ক, ৩০টি যুদ্ধবিমান, ৮৪৬টির বেশি সাঁজোয়া যান ও ৩১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা।

তাদের এ দাবি নিরপক্ষেভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে রাশিয়া প্রথমবারের মতো জানিয়েছে, যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৫৯৭ সেনা। এছাড়া তাদের হামলায় ইউক্রেনের সেনাসহ দুই হাজার ৮৭০ জন নিহত হয়েছেন।

খারসন শহরে রুশ কারফিউ

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী খারসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর পর এটাই রাশিয়ার দখলে যাওয়া বড় কোনো শহর। খারসনের মেয়র ইগর কোলিখায়েভ জানিয়েছেন, রুশ সেনারা জোর করে সিটি কাউন্সিল ভবনে ঢুকে পড়ে এবং বাসিন্দাদের ওপর কারফিউ জারি করে।

খারসনের পাশাপাশি ইউক্রেনের আরো কয়েকটি শহরে তুমুল গোলাবর্ষণ চলায় বুধবার দিনটি রুশ হামলা শুরুর পর থেকে অন্যতম ধ্বংসাত্মক দিনে পরিণত হয়েছে। নাগরিকদের গুলি না করার জন্য রুশ সেনাদের প্রতি আকুতি জানান তিনি। একই সঙ্গে রুশ সেনাদের আরোপ করা বিধিনিষেধ মেনে চলতে নাগরিকদের নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র ইগর।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, খারসনের নিয়ন্ত্রণ এখন রাশিয়ার বাহিনীর হাতে। কৃষ্ণসাগর উপকূলে অবস্থিত এই শহরে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষের বাস। বর্তমানে শহরে ইউক্রেনের কোনো সেনা নেই। রুশ বাহিনী বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। এগুলো হলো- রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ। বাইরে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজনের বেশি থাকা যাবে না। খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি পণ্যের গাড়ি শহরে ঢুকতে পারবে, গাড়ি চালাতে হবে সর্বনিম্ন গতিতে। এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে এখনো তুমুল গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে।

শহরটির মেয়র বলেছেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা আবাসিক এলাকাগুলোতে আঘাত হানায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিওপোলে কয়েক ঘণ্টার লাগাতার গোলাবর্ষণে কয়েক শ মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজধানীতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পর কিয়েভের রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। তবে হামলার লক্ষ্য কী ছিল, কিংবা এতে কতজন হতাহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। এর আগে কিয়েভের কেন্দ্রস্থলের একটি রেলস্টেশনের কাছে বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটে।

রাশিয়ার সেনাদের গোলাবর্ষণ থেকে রক্ষা পেতে রেলস্টেশনটির কাছে কিয়েভের শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্টেশনের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উপদেষ্টা বলেন, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দ্বারা বাধা দেওয়ার পরই একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ার কারণে সেখানে বেশ কিছু অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েল মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, শত শত সাঁজোয়া যান নিয়ে কিয়েভ অভিমুখে অগ্রসর হওয়া ৪০ মাইল দীর্ঘ রুশ সেনা বহরটি এখনো পথেই থমকে রয়েছে। গত ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তারা তেমন আগায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার সেনারা পুনরায় দলবদ্ধ হওয়া ও কতটা অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল, আর কতটা অগ্রগতি করতে হবে, তা মূল্যায়নের জন্য একই স্থানে রয়েছে। পর্যাপ্ত সামরিক সরঞ্জাম ও দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ করার জন্য চ্যালেঞ্জ এবং ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে ওঠার বিষয়টিও হয়তো তারা ভেবে দেখছে।

প্রসঙ্গত, গত দুই দিন ধরে এই রুশ সাঁজোয়া বহরের কথা শোনা যাচ্ছে। সর্বশেষ বহরটি কিয়েভের মাত্র ১৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে বলে খবর বের হয়েছিল। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, রুশ সাঁজোয়া যানের ৪০ মাইল দীর্ঘ এই বহর কিয়েভ যাওয়ার পথে কোনোভাবে আটকে গেছে।

এটা আরেকটা ভাইরাস : জেলেনস্কি

রুশ হামলাকে ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল তিনি বলেন, দুই বছর আগে তার দেশে প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে আরেকটি ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করেছে। পুতিনের উদ্দেশে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উচিত তার দেশের রুশভাষীদের সুরক্ষা দেওয়া, বিশ্বজুড়ে থাকা সব রুশভাষীদের নয়। আপনি যতই ধ্বংস করুণ, আমরা দেশকে পুনর্গঠন করব।

আপনি ইউক্রেনের সব গির্জা এবং ক্যাথেড্রাল ধ্বংস করে দিলেও সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আন্তরিকতা নষ্ট করতে পারবেন না। আমরা প্রত্যেকটি ঘর, রাস্তা এবং শহর পুনর্গঠন করব। আপনি আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, প্রতিটি ইউক্রেনের মানুষের বিরুদ্ধে যা করেছেন, তার জন্য সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন একটি জাতি, যারা এক সপ্তাহে শত্রুর পরিকল্পনা ভেঙে দিয়েছি। আমরা তাদের থামিয়ে দিয়েছি।

শেষ পর্যন্ত লড়ব : ল্যাভরভ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, কিছু বিদেশি নেতা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন কিছু হলে মস্কো একেবারে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকবে। বৃহস্পতিবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের কোনো চিন্তা রাশিয়ার নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একজন জাতিগত ইহুদি। তিনি এমন একটি সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেখানে নাৎসিবাদ লালন করা হয়।

ইউক্রেন সংকটের একটি সমাধান পাওয়া যাবে। ইউক্রেনীয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনা অবশ্যই পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর আধিপত্যবাদ টিকিয়ে রেখেছে। আমাদের অনেক সদিচ্ছা আছে। কিন্তু আমরা কাউকে নিজের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে দিব না। রাশিয়ার জন্য হুমকি, এমন কোনো স্থাপনা ইউক্রেনে থাকতে পারবে না। আমরা তা হতে দেব না।

ইউক্রেনের কাছ থেকে সামরিক হুমকিও মস্কো সহ্য করবে না। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার অধিকার আছে। পশ্চিমা রাজনীতিকদের মাথায় ক্রমাগত পরমাণুর চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু এটা আমাদের মাথায় নেই। ভারসাম্যহীনতার জন্য কোনো ধরনের উসকানি মেনে নেব না। রাশিয়া রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্নতা বোধ করছে না এবং ইউক্রেনে মানুষের জীবন কীভাবে পরিচালিত হবে সেটি তাদের জনগণই ঠিক করবে।

ইউক্রেনে সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য একেবারে উচ্চমানের নিখুঁত নিশানা বানাতে পারে- এমন অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া আছে সৈন্যদের। আমাদের কাছে তথ্য আছে, ইউক্রেনের কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ব্রিটেনও সেখানে সামরিক ঘাঁটি গড়ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

রুশ সৈন্য প্রত্যাহারে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সৈন্যদের সরিয়ে নিতে সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪১টি ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে পাঁচটি দেশ এবং ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ৩৫টি।

ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, চীন, ভিয়েতনাম, ইরাক, ইরান, কিউবা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বুধবার সাধারণ পরিষদে ওই প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। ইউক্রেন ইস্যুতে দুদিন টানা বিতর্কের পর এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।

কূটনৈতিকভাবে রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই মূলত এই পদক্ষেপ। তবে সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাব মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ার সৈন্যরা শুধু দখল করতে আসেনি। এটা এক ধরনের গণহত্যা।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বলেন, জাতিসংঘের যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রের এবং আপনার দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতায় যদি আপনি বিশ্বাস করেন তাহলে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিন। রাশিয়া আরো তীব্রভাবে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

মন্তব্য

Beta version