জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলেছে, ইউক্রেনের দখলকৃত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রাশিয়ার হামলার পর কোনো বিকিরণ নিঃসরণ হয়নি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান বলেছেন, যে সাইটটিতে রাশিয়ার হামলা হয়েছে সেই জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিঃসরণ হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি বলেছেন আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে ইউক্রেনীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি।
এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি প্রশিক্ষণ ভবনে রাশিয়ার হামলার কারণে আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ভিয়েনায় আইএইএর সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গ্রসি বলেন ‘হামলায় সৃষ্ট আগুনের কারণে ঘটনাস্থলে থাকা দুজন আহত হয়েছেন।
তিনি এই পারমাণবিক প্ল্যান্টের অপারেটর এবং ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ‘এখন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং’।
প্ল্যান্টের ছয়টি চুল্লির মধ্যে শুধুমাত্র একটি অপারেশনে আছে এবং তা এই প্ল্যান্টের মোট ক্ষমতার প্রায় ৬০ শতাংশ।
এর আগে শুক্রবার ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জেপোরোজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এটা ইউরোপের তথা ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটগুলোর অবস্থা সবসময় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তদারকির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
এর আগে রাশিয়ার বোমা হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন নেভানো হয়।
জেপোরোজিয়া পরমাণু বিদুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে ১১ বছর সময় লেগেছিল।
ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয়টি রিয়েক্টর থেকে ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৪০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।
সূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা
মন্তব্য