-->
শিরোনাম

ইউক্রেনের ২ শহরে সাড়ে ৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি

বাসিন্দাদের সরতে বলল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের ২ শহরে সাড়ে ৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
ফাইল ফটো -রয়টার্স

মারিওপোল এবং ভলনোভাখা শহরে সাময়িকভাবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পক্ষ থেকে যুদ্ধ বিরতির এই ঘোষণা দেয়া হয়। শনিবার (৫মার্চ) মস্কোর স্থানীয় সময় বেলা ১০টায়

এই ঘোষণা আসে। ঘোষণায় বলা হয়, সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য ঘোষণা করা হল এই যুদ্ধবিরতি। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে, আজভ সাগরের তীরের বন্দর শহর মারিওপোলের

বাসিন্দাদের দেশ ছাড়ার সুযোগ দিয়ে সাময়িক এই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিলো রাশিয়া।

মারিওপোলের পাশাপাশি ভলনোভাখা শহরেও জারি হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি। কিয়েভ-মস্কো সংঘাতের দশম দিন চলছে আজ। চলতি সপ্তাহে বেলারুশে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার বৈঠকের পরে রাজধানী

কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের অসামরিক বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে ঐকমত্য হয়েছিলো দুই পক্ষ। তারই ভিত্তিতে মস্কোর এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। দক্ষিণের শহর

খারসেনের দখল নিলেও রুশ বাহিনী এখনো আরো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ওডেসা ও মারিওপোলকে দখল করতে পারেনি। ওই দুই শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবরও মিলেছে।

তবে আজ দশম দিনেও দুই পক্ষের উত্তেজনা প্রশমনে কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউরোপের বৃহত্তম

পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করার পর রাশিয়ান সৈন্যদের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিওপোল। এর আগে ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভের একাংশ এবং খেরসনের কিছু জায়গায় নিজেদের

ঘাঁটি গেড়েছে রাশিয়া। পাশাপাশি রাশিয়া যুদ্ধের কৌশল আরো বদলাচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

আজ শনিবার (৫মার্চ) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি আমেরিকার সিনেটরদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করবেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি

সম্পর্কে আমেরিকাকে জানাবেন তিনি। তার আগেই এল পাঁচ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতির এই খবর।

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার আর্জিও জানিয়েছিলেন ইউক্রনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় দফার শান্তি বৈঠকের মধ্যেই

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন জেলেনস্কি। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করার এক মাত্র পথ, আমার

সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি আলোচনা।’ তবে জেলেনস্কির ওই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ক্রেমলিন।

মন্তব্য

Beta version