রাশিয়ার আক্রমণে মারিউপোলের আবাসিক এলাকা প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত। শপিং সেন্টারগুলোতেও যুদ্ধের ধ্বংসজঙ্গ স্পষ্ট। রাশিয়ার রকেট হামলা থেকে বাদ যাইনি প্রসূতি হাসপাতালও।
বন্দর নগরীতে মৃতদের কবর দেওয়ার জন্য একটি গণকবর খোড়া হয়েছে।
মারিউপোল হচ্ছে ৪ লাখ জনসংখ্যার একটি শহর। রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে কয়েকদিন ধরে এই শহরটি ভারী বোমা হামলার শিকার হয়ে আসছে।
শহরটির ডেপুটি মেয়র সের্গেই অরলভ বলেছেন, ‘মারিউপোলে খাদ্য ও পানির ব্যাপক সংকট। এখানে বিদ্যুৎ নেই, পানির সরবরাহ বন্ধ, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।
‘লোকজন বাধ্য হচ্ছে বরফ গলিয়ে পান করতে এবং রান্না করার জন্য কাঠ কাটতে যাতে তারা শূন্য তাপমাত্রায় উষ্ণ থাকতে পারে’ বলেন সের্গেই অরলভ।
গত বুধবারে রাশিয়ার রকেট হামলায় মারিউপোলের একটি হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড এবং শিশুদের ওয়ার্ড ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে।
এই হামলায় একজন শিশুসহ তিনজন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন।
স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সারের মতে, মারিউপোলের দক্ষিণ এবং পূর্বদিকের আবাসিক এলাকা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এই শহরটি কার্যত বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মারিউপোল রাশিয়ার একটি প্রধান কৌশলগত লক্ষ্য। এটি দখল করলে পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীরা ক্রিমিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারবে।
ইউক্রেনের দক্ষিণ উপদ্বীপ ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে রাশিয়া ফেডারেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়।
বিবিসি।
মন্তব্য