ইউক্রেন জনগণের রোববারের সকালটা শুরু হয়েছে সাইরেনের শব্দ শুনে। রাশিয়া নতুন উদ্যমে ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে ভোররাতে ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে থাকে।
এই বিমান হামলার কয়েকটি স্পর্শকাতর অবকাঠামো যেমনÑ পোলিশ সীমান্তের কাছে ইয়াভোরিভের সামরিক বিমানঘাঁটি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্কের বিমানবন্দর আঘাত হেনেছে।
তবে অন্য হামলাগুলো ভারী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চেরনিহিভে পরপর তৃতীয়বারের মতো আঘাত হেনেছে।
চেরনিহিভ অঞ্চলের প্রধান ব্যাচেস্লাভ চাউস রোববার ভোরে তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করেছেন, ‘দখলদার বাহিনী রাতে চেরনিহিভ অঞ্চলের একটি উচ্চ ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে।’
‘উদ্ধারকারীরা ঘঁনাস্থলে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ বলেন ব্যাচেস্লাভ চাউস।
চাউস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে দশটি আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং তিনজন মারা গেছে।
কিয়েভ যাওয়ার প্রধান রাস্তা চেরনিহিভের দক্ষিণে ব্রোভারির কাছে গোলাগুলোতে একজন মা ও তার ছেলে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফুটবল ক্লাব এফসি শাখতার এক টুইট বার্তায় বলেছে ‘দিমিত্রো ইয়েভদোচেঙ্কো একজন প্রতিশ্রুতিশীল কিশোর ফুটবলার এবং তার মা মেরিনা ইয়েভদোচেঙ্কো রাশিয়ার সেনাদের গোলাগুলিতে মারা গেছেন।’
ইউক্রেনীয় সরকার রাজধানী থেকে ডেনিপার নদীর ওপারে অবস্থিত ব্রোভারির আশপাশের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপদ করিডর খোলার চেষ্টা করছে।
সূত্র : সিএনএন
মন্তব্য