-->

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ট্রেন চড়ে কিয়েভে তিন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ট্রেন চড়ে কিয়েভে তিন প্রধানমন্ত্রী
ওয়ারশ থেকে ট্রেনে কিয়েভে গেছেন তিন প্রধানমন্ত্রী।

ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার বিশতম দিনে রাজধানী কিয়েভের অধিবাসীরা ৩৫ ঘণ্টার কারফিউতে ছিলেন, যদিও এর মধ্যে ট্রেনে কিয়েভ গেছেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা।

বুধবার বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কবাণী সত্ত্বেও তিন প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের উদ্যোক্তা ছিল পোল্যান্ড।

বিবিসি ইউরোপ এডিটরের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ পোলিশ সামরিক জেটের উড্ডয়ন রাশিয়ার কাছে বিপজ্জনক উস্কানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে তবে তখনও এটা পরিষ্কার ছিল না যে, কখন তাদের বহনকারী ট্রেন ওয়ারশতে ফেরত আসতে পারবে।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি বলেছিলেন, নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানীতে। 

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে কারফিউ বলবৎ হওয়ার পর কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিন প্রধানমন্ত্রী। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্রিফিং করেন তারা। উভয় নেতা তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

শরীরে পচন আর ক্ষুধা

রাশিয়ার যুদ্ধবিমান আর ট্যাংক থেকে অনবরত গোলা আর বোমা বর্ষণ হচ্ছে ইউক্রেনের শহরগুলোতে। মারিউপোলে বড় একটি ভবনের বেজমেন্টে আটকে আছেন শত শত মানুষ। সেখানে তীব্র খাদ্য সংকটের পাশাপাশি দরকার হয়ে পড়েছে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা।

সংক্রমণের কারণে অনেকের শরীরে পচন ধরেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একজন শিক্ষক আনাসতাসিয়া পনমারেভা। যুদ্ধের শুরুতেই তিনি শহর ছাড়লেও শহরে থাকা অনেকের সাথে তার যোগাযোগ আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

‘পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক,’ বলছিলেন তিনি।

তারা বন্ধুরা পরিবারের সঙ্গে দিনের বেশিরভাগ সময় ভবনের বেজমেন্টেই অবস্থান করছেন। সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পেতে কখনো কখনো ভবনের ওপরে উঠছেন কিন্তু ভবনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ বিরল। নিরাপত্তার অভাবে তারা আগেই তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।

শহরের পশ্চিমদিকের শহরতলীতে একটি হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন, তারা যেন রুশ সেনাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন। একজন কর্মী জানিয়েছেন, আশেপাশের অন্তত চারশ জনকে রাশিয়ান সেনারা বাধ্য করেছে বাড়ি ছেড়ে হাসপাতালে আসতে।

‘এখন আমরা আর যেতে পারছি না,’ বলছিলেন তিনি।

আঞ্চলিক গভর্নর পাবলো কিরিলেঙ্কো বলেন, সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণে সব ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও হাসপাতালের বেজমেন্টেই লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রায় দু হাজার গাড়ি মানবিক করিডোর দিয়ে মারিউপোল ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। যুদ্ধের আগে চার লাখ মানুষ শহরে বাস করতো। সিটি কাউন্সিল বলছে, অন্তত দু হাজার মানুষ এরই মধ্যে মারা গেছে।

ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক মারা গেছে কিয়েভে

ফক্স নিউজের জন্য কাজ করছিলেন এমন একজন ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কিয়েভের শহরতলীতে ব্যাপক গুলিবর্ষণের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন তারা।

ফক্স নিউজ চীন এক্সিকিউটিভ সুজানে স্কট এই দুজনের মৃত্যুকে 'হৃদয় বিদারক' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাদের সহকর্মী বেনজামিন হালও আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন।

এর আগে রোববার ৫০ বছর বয়সী মার্কিন সাংবাদিক ব্রেন্ট রেন্যঁ গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।

মন্তব্য

Beta version