-->
শিরোনাম

রাশিয়ার হামলায় কিছুই অবশিষ্ট নেই মারিউপোলে: জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার হামলায় কিছুই অবশিষ্ট নেই মারিউপোলে: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাইরে একটি শপিংমলে হামলার পরের দৃশ্য।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে তীব্র লড়াই হচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার হামলার পর সেখানে কার্যত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

তিনি আরো বলেছেন, প্রায় এক লাখ মানুষ রাশিয়ার হামলার মধ্যেই মারিউপোলে অবস্থান করছে। সেখানে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট তৈরি হওয়ায় এসব লোক চরম মানবেতর অবস্থায় আছে।

আরো পড়ুন: ‘মারিউপোলের পতন হলেই, রাশিয়ার মনোযোগ অন্য কোনো স্থানে পড়বে’

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেনের মানুষ এখন নরক যন্ত্রণায় বাস করছে। কারণে বহু শহরে গোলাবর্ষণ চলছে। এই যুদ্ধ জয়যোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সহসাই এই যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। আর যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী এক জায়গাতেই আটকে আছে।

রাশিয়ার বড় পরিকল্পনায় আটকা পড়েছে ছোটো শহর

কৃষি শহর ভজনেসেনস্ক এবং এর একটি সেতুকে ঘিরে দুদিন ধরে ব্যাপক লড়াই হয়েছে।

এখানে জয়ের মাধ্যমেই রাশিয়ার বাহিনী দ্রুত কৃষ্ণসাগরের বড় বন্দর ওডেসা এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। তবে ইউক্রেনের সেনারা তীব্র প্রতিরোধ তৈরি করেছে এবং তারা একটি ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ায় রাশিয়ানদের পিছু হটতে হয়েছে প্রায় একশ কিলোমিটার পর্যন্ত।

তবে ওই লড়াইয়ের তিন সপ্তাহ পর ভজনেসেনস্কের মেয়র আবারো রাশিয়ার হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। কারণ শহরটির যোদ্ধাদের হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই। তিনি বলেন, শত্রুদের প্রতিরোধ করার মতো ভারী অস্ত্র তাদের হাতে আর নেই।

শরণার্থীদের জন্য হোয়াইট হাউজের পরিকল্পনা

ইউক্রেনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া শরণার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এ ঘোষণা আসতে পারে এবং এ পরিকল্পনার আওতায় ইউক্রেনের অধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষজন থাকবেন। এর ফলে এসব মানুষ দ্রুততম সময়ে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

রাশিয়ান নোবেলজয়ী ইউক্রেনের শরণার্থীদের পাশে

রাশিয়ার নভায়া গেজেট পত্রিকর প্রধান সম্পাদক তার নোবেল শান্তি পুরষ্কার হিসেবে পাওয়া পদক ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। দিমিত্রি মুরাটভ বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনে এক লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বছর তিনি এ পদক জয় করেছিলেন।

রাশিয়ার সেনারা কতটা অগ্রসর হলো

রাশিয়ার সেনারা গত সপ্তাহে বড় কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি। ইন্সটিটিউট অফ স্টাডি অফ ওয়ার বলছে, তারা বরং রক্ষণাত্মক অবস্থান আরো জোরদার করেছে।

প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, রাশিয়ার সেনারা দরকারি রসদের অভাবে এক জায়গায় আটকে আছে।

ক্রেমলিন অবশ্য বরাবরই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে গুরুত্ব দিতে দেখাতে রাজী নয়। তবে বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলা আরো জোরদার করেছে রাশিয়া।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

Beta version