বুচা শহরে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে- রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের এই অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, রাশিয়ায় নতুন বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্রেমলিন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গসহ রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন নতুন করে যে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে তার আওতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই কন্যা ছাড়াও দেশটির সবচেয়ে বড় ব্যাংকও থাকছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন পঞ্চম দফার নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার কয়লা আমদানিকেও অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। মূলত ইউরোপের বন্দরগুলো ব্যবহার করে রাশিয়ার মালিকানাধীন জাহাজ পরিচালনা ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রাশিয়ার মানুষজনকে লক্ষ্য করে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যাতে বলা হয়েছে যে তাদের বাহিনী নৃশংস আচরণ করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবং এর আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি রাশিয়ার কথিত নৃশংসতার একগুচ্ছ তালিকা তুলে ধরেছেন। একটি ভিডিও উপস্থাপন করে তিনি বলেছেন যে, বেসামরিক মানুষদের রাস্তায় গুলি করে এবং ট্যাংকের চাপায় পিষ্ট করে মারা হচ্ছে।
কিয়েভের কাছে বুচায় বেসামরিক নাগরিকদের দেহাবশেষ রাস্তায় পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেছেন।
তবে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনকে ট্যাংক দিচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রই প্রথম ইউক্রেনকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে। সিনিয়র চেক কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটি ইতোমধ্যেই সোভিয়েত নির্মিত টি-৭২ মডেলের ট্যাংক ইউক্রেনকে দিয়েছে। তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানা সেরনোকোভা পার্লামেন্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি। শুধু বলেছেন, তারা যথাসম্ভব ইউক্রেনকে সহায়তা করছেন এবং সামরিক উপকরণ দিয়ে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
‘বুচায় শত শত বেসামরিক মানুষ হত্যা’
বুচা শহরের মেয়র বিবিসিকে বলেছেন, শহরটি দখলের সময় রাশিয়ানরা ৩২০ জন বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে। আনাতলি ফেডরক বলেছেন, তিনি নিজেই কয়েজনকে হত্যার দৃশ্য দেখেছেন। তার অভিযোগ, শহর দখলের সময় রাশিয়ানরা স্থানীয় রাজনীতিকদের খোঁজ করেছেন।
বিবিসি বাংলা
মন্তব্য