-->
শিরোনাম

সাংবিধানিক সংকট: পাকিস্তানে আবারো পেছাল শুনানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সাংবিধানিক সংকট: পাকিস্তানে আবারো পেছাল শুনানি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে এখনও টিকে আছেন ইমরান খান। (ফাইল ছবি)

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য এখনো দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ঝুলে আছে। স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করতে পারেন কি না সে বিষয়ে শুনানি বৃহস্পতিবার (আজ) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পেছাল শুনানি। খবর: ডন ও জিও নিউজের।

বুধবার স্থানীয় সময় দুপরে শুনানির শুরুতে আদালতকক্ষে সরকার ও বিরোধী দলের বিপুলসংখ্যক রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিল। শুনানি শুরু হলে প্রধান বিচারপিত উমর আতা বান্ডিয়াল বলেন, পার্লামেন্টে ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল নিয়ে হওয়া মামলার শুনানি বুধবারের মধ্যে শেষ করতে চেষ্টা করছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে আরো রয়েছেন বিচারপতি ইজাজুল আহসান, মোহাম্মদ আলী মাজহার, মুনিব আখতার ও জামাল খান মান্দোখাইল।

এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে অনাস্থা ভোট বাতিলের শুনানি হয়। শুনানিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ স্পিকারের কাউন্সিল নাঈম বোখারিকে গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত অধিবেশনের কার্যবিবরণী উপস্থানের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল বলেন, রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতির মতো নীতিগত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবেন না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির খারিজ করে দেওয়ার বৈধতার বিষয়টি নিয়েই কেবল সিদ্ধান্ত দেবেন সর্বোচ্চ আদালত।

আমরা আইন ও সংবিধানের বিষয়টি দেখছি। কেবল এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা দেখতে চাইছি, ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া রুলিং সর্বোচ্চ আদালত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন কি না। আমরা নীতিগত বিষয়ে জড়াতে চাই না। আদালত সাংবিধানিক বিষয়টি দেখতে চান বলে জানান বিচারপতি ইজাজুল আহসানও।

উল্লেখ্য, গত রোববার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর প্রেসিডেন্টের কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তার আহ্বানে সারা দিয়ে পার্লামেন্টে ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ ঘটনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডেপুটি স্পিকার অসাংবিধানিকভাবে অনাস্থা ভোট বাতিল করেছেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন।

মন্তব্য

Beta version