ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরের মাকারিভ থেকে ১৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় মেয়র ভাদিম তোকারকে উদ্ধৃত করে তাতে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া এসব মরদেহের বেশির ভাগই গণকবর দেওয়া হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রাভাদা ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
টেলিভিশনের মাধ্যমে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তহবিল সংগ্রহের সময় মাকারিভে গ্রামপ্রধান ভাদিম তোকার তার গ্রামে এসব মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
ভাদিম তোকার বলেন, ‘আমরা আমাদের গ্রামে রাশিয়ার সেনাদের নৃশংসতা দেখেছি। গতকাল পর্যন্ত আমরা ১৩২ জন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। রাশিয়ার সেনারা এসব বেসামরিক মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
আমি তো রাশিয়ার সেনাদের মানুষ বলতে পারব না।’ তিনি আরো বলেন, রুশ বাহিনী মাকারিভে বোমা হামলা করেছে। হামলায় একটি হাসপাতাল, একাধিক কিন্ডারগার্টেন ও প্রায় সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গ্রামপ্রধান তথা মেয়র ভাদিম তোকার বলেন, ‘বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ছাড়াই কোনোমতে আমাদের দিন যাপন করতে হচ্ছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
আমরা গ্রাম থেকে কারো সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলাম না। কয়েক দিন আগেই যোগাযোগ ব্যবস্থা আবার চালু হয়েছে।’ভাদিম তোকারের দাবি অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর হামলায় মাকারিভের প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাকারিভে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। তবে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর মানুষজন গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে। গ্রামটিতে এখন এক হাজারের কম মানুষ আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য