-->

পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ইমরান খানের দলের

ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর পর পাকিস্তানে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এদিকে শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ইমরান খানের দলের
রোববার রাতে করাচিতে বিক্ষোভ

পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি ইমরান খান। তারপরই তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। গতকাল রোববার করাচি, পেশোয়ার, মুলতান, খানেওয়াল, খাইবার, ইসলামাবাদ, লাহোর, অ্যাবোটাবাদসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভে দলের প্রচুর কর্মী ও সমর্থক সামিল হয়েছেন।

ইমরান খান দাবি করেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। বিদেশি শক্তি চক্রান্ত করে তার সরকার ফেলে দিয়েছে। মানুষ নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে পথে নামবে। ইমরান খানের দলের মুখপাত্র বলেছেন, দেশের নীতি ও সংবিধানভঙ্গের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ হবে। পাকিস্তানের সব শহরে তারা বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছেন। 

বিক্ষোভের পর ইমরান তার সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। বলেছেন, এরকম অত্যাশ্চর্য সমর্থন দেখানোর জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। স্থানীয় মীরজাফররা বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতায় এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসছে। দেখা যাচ্ছে, দেশে ও বিদেশে বসবাসকারী পাকিস্তানিরা এই চক্রান্তের বিরোধিতা করছেন।

গতকাল রোববার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জিরো পয়েন্টে ইমরানের সমর্থকরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করে। এর ফলে বিশাল যানজট হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে বহু মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেখানে নেতারা ভাষণ দেন। তাদের নিশানায় ছিলেন মূলত শাহবাজ শরিফ।

পেশোয়ারে প্রেসক্লাবের সামনে প্রচুর বিক্ষোভকারী জমায়েত হন। সেখানে প্রচুর নারী এসেছিলেন। লাহোর, করাচিসহ বিভিন্ন শহরে এবং বিদেশেও ইমরানের দলের কর্মী ও সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গতকাল।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারির কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইমরান-বিরোধী জোটের প্রার্থী শাহবাজ শরিফ। আজ সোমবারই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন হবে। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে শাহ মাহমুদ কোরেশিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শাহবাজেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্বাবনা বেশি বলে দ্য ডন জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শরিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করবেন।

ইমরান খানের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রথম থেকেই তারা নতুন সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যাবে। পথে নেমে যেমন আন্দোলন করা হবে, তেমনই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও কড়া প্রতিবাদের পথে যাবে তারা। ডয়েচে ভেলে।

মন্তব্য

Beta version