পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দেশটির জাতীয় পরিষদে অধিবেশন শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন ‘বিতর্কিত’ ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি।
মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার দু’দিনের মধ্যে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। খবর পাকিস্তানি বার্তা সংস্থা ডন-এর।
অধিবেশন শুরুর আগে গতকাল ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) থেকে প্রচার করা হয়েছিল দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ কোরেশিকে প্রার্থী করা হবে। তবে সরকার পতন হওয়ার পর দেশে ও মধ্যপ্রাচ্যে সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভ হওয়ায় পিটিআই এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আর নির্বাচন নয়, জাতীয় পরিষদ থেকেই সরে দাঁড়াবে তারা। দলটি গণপদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেও এখনও তা বাস্তবায়ন করেনি।
অন্যদিকে, বিরোধীদের সংঘবদ্ধ অনাস্থা প্রস্তাব পাসের পরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এর চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফকে সম্মিলিত বিরোধীদল থেকে প্রার্থী করা হয়। পাকিস্তানের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বর্তমান চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি সেদিনই তাকে জাতীয় পরিষদে প্রকাশ্যে সমর্থন দেন।
আজ যদি ইমরান খানের নেতৃত্বে পিটিআই গণপদত্যাগ করে জাতীয় পরিষদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিশাল অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। তবে জাতীয় পরিষদে এমন পরিস্থিতিতেও যদি অবশিষ্টরা শেহবাজ শরিফকে সমর্থন দেন এবং ১৭২টি সমর্থন তার পক্ষে যায় তবে তিনিই নির্বাচিত হবেন অস্থির সময়ের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
ডনের শেষ খবর অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখছেন পিটিআই’র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ কোরেশি।
মন্তব্য