পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য বসা জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বয়কট করে বের হয়ে গেছে সদ্য ক্ষমতা হারানো দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সদস্যরা। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে অধিবেশন শুরুর পর পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শাহ মুহাম্মদ কোরেশি বক্তব্য রাখেন।
এরপরই সম্মিলিত বিরোধীদলীয় প্রার্থী ফ্লোর নিয়ে জাতীয় পরিষদে বলেন, নির্বাচনে হারার ভয়ে পিটিআই সদস্যরা জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে চাইছেন।
তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন পিটিআই সদস্যরা। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর।
এর ফলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে একক প্রার্থী হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) (পিএমএল-(এন) এর প্রেসিডেন্ট ও সাবেক দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ।
ডন জানায়, এর ফলে কার্যত শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে তেমন বাধা রইল না।
শেহবাজের প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়া ত্বরান্বিত করতে দুদিন আগের মতো আজও সামনে চলে আসেন নওয়াজের দল থেকে স্পিকার প্যানেলে থাকা আয়াজ সাদিক।
আজ ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরির সভাপতিত্বে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়েছিল। তবে মোক্ষম সময়ে এসে ‘বিতর্কিত রুলিং’ দিয়ে জাতীয় পরিষদকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন আয়াজ সাদিক এবং তাকে নির্বাচনের আগে স্পিকারের চেয়ার থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজের ফুটেজে দেখা গেছে, বিরোধীসদস্যরা টেবিল চাপড়ে আয়াজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। ফলে ডেপুটি স্পিকার চেয়ার ছাড়তে বাধ্য হন। তবে যাওয়ার আগে কেন কোন পরিস্থিতিতে ওই রুলিং দিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করেন ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি।
সর্বশেষ অবস্থা হচ্ছে, আয়াজ সাদিক স্পিকারের দায়িত্ব নিয়েই ভোটাভুটির প্রস্তুতি নেন। তার নির্দেশে আবারও ঘণ্টা বাজানো হয়। তিনি বাইরে থাকা সদস্যদের জাতীয় পরিষদে প্রবেশের জন্য পাঁচ মিনিট সময় বেঁধে দেন।
এসময়ের মধ্যে পিটিআই’র আসনগুলো শূন্যই থেকে যায়। ভোটের পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে ১৭২ জনের সমর্থন পাওয়াই কেবল বাকি, বাকি মঞ্চ প্রস্তুত নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফের জন্যে।
মন্তব্য