জেরুজালেমের ওল্ড সিটির আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুখ ঢাকা, পাথর ছোড়া ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
এর মধ্যে মুসলমানদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত আল আকসা প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষ ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে গাজার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিস্তৃত সংঘাত উসকে দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
মুসলমানদের কাছে পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচিত রমজানের মধ্যে ইহুদির নিস্তারপর্ব উদযাপন ও খ্রিস্টানদের ইস্টার উৎসব পড়ায় জেরুজালেমে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
পুলিশ বলছে, ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার পরও থেকে যাওয়া একদল সহিংস প্রার্থনাকারীকে সরিয়ে দিতেই তারা ইহুদিদের কাছে পরিচিত টেম্পল মাউন্ট ও মুসলমানদের কাছে পবিত্র মসজিদ হিসেবে পরিচিত আল-আকসার প্রাঙ্গণে ঢুকেছিল, তবে তারা মসজিদের ভেতরে যায়নি।
একদল ফিলিস্তিনি যখন ওয়েস্টার্ন ওয়ালের ইহুদিদের প্রার্থনার জায়গা লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছিল, তখন তাদেরকে ‘ছত্রভঙ্গ ও সরিয়ে দিতেই’ কম্পাউন্ডে ঢুকতে হয়েছিল, বলছে তারা।
পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র। আর সংঘর্ষে ১৫২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।
এদের অনেকেই পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেটে আহত হয়েছে, বলছে তারা।
ভিডিওতে দাঙ্গা মোকাবেলায় উপযুক্ত পোশাক ও সরঞ্জাম পরে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে অল্প কজনের একটি দলকে ধাওয়া দিতে দেখা গেছে।
সংঘর্ষের জন্য ইসরায়েলি পুলিশকে দায় দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামী গোষ্ঠী হামাস।
‘এর পরিণতি ভোগ করতে হবে ইসরায়েলকে’ বলেছে তারা।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি
মন্তব্য