শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও আন্দোলনের মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসে। নতুন ১৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় জন দাবির মুখে এবার আত্মীয়-স্বজনদের ঠাঁই দেননি তিনি।
রাজপথে তার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই সোমবার (১৮ এপ্রিল) মন্ত্রিসভা গঠন করেন তিনি। যদিও এ মন্ত্রিসভা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
মন্ত্রিসভায় রয়েছেন কেবল তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। এর আগে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ায় তার মন্ত্রিসভা দাঁড়ালো ২০ জনে।
এর আগে এ মাসের শুরুতে দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিলে মন্ত্রিসভা থেকে সব সদস্য পদত্যাগ করেন। তখন কেবল প্রধানমন্ত্রী পদে প্রেসিডেন্ট গোতবায়ের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেই ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন।
দেশটি তীব্র অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়ে সরকারিভাবে দেউলিয়া ঘোষণা পর থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ প্রায় সব কিছুতেই সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় গোতবায়েকে ক্ষমতা ছাড়ার দাবিতে দেশটির শহরে শহরে আন্দোলন করছে বিরোধীরা।
এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের ডেকে সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে। তবে বিরোধীরা তা প্রত্যাখ্যান করে।নতুন মন্ত্রিসভায় কোন নারী সদস্য রাখা হয়নি।
এদিকে, নতুন মন্ত্রিসভাকে বিরোধীরা প্রত্যাক্যান করেছে। গোতাবায়ের পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এবারই মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে চীন, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ঋণ নেয় দেশটি। কিন্তু, পরিশোধ করতে না পারায় এ ঋণ উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের।
এদিকে মুদ্রাস্ফীতির ফলে দ্রব্যমূল্য এমন বেড়েছে যে ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন। এ অবস্থায় সাবেক ক্রিকেটাররাও সরকার পতনের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য