আবারো ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতির প্রশংসা করলেন পাকিস্তানের সদ্য-অপসারিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি, অবিলম্বে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে পাকিস্তানে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সভায় ইমরান খান বলেন, ‘ভারত সরকারের বিদেশনীতির বৈশিষ্ট্য হলো, তারা অন্যান্য দেশের সুবিধার আগে নিজের জনগণের জন্য চিন্তা করে।’
প্রসঙ্গত, গত মাসে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরও ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করেছিলেন ইমরান খান।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়ার চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে জাতীয় উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের কোনো শক্তি ভারতকে তার স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করতে বাধ্য করতে পারে না। কেউ ভারতকে নির্দেশ দিতে পারে না। আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্রেরা আমাদের (পাক সরকার) যা বলছেন, তারা ভারতকে তা বলতে পারবেন না। ভারত একটি সার্বভৌম দেশ বলেই কেউ তাকে বাধ্য করতে পারে না।’
গতকাল বৃহস্পতিবারও একই কথা শোনা গেছে ইমরান খানের মুখে।
লাহোরের ওই সভায় পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ), পাকিস্তান পিপলস পার্টি, মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-আমল, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান, বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টি, জামহুরি ওয়াত্তারি পার্টি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদ-ই-আজম) জোট সরকারকে বরখাস্ত করার দাবিও জানান পিটিআই প্রধান ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই আমদানি করা সরকারকে মেনে নেব না। ভুল শোধরানোর একটাই উপায় আছে অবিলম্বে ভোট।’
পিটিআই এর টুইটারেও জানানো হয়েছে একই দাবি।
আনন্দবাজার
মন্তব্য