ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থক, মধ্যপন্থি এমানুয়েল ম্যাখোঁই ক্ষমতায় থাকবেন নাকি ডানপন্থি, জাতীয়তাবাদী মারিন লে পেনের কাছে গদি হারাবেন, তা নির্ধারণে রায় জানাচ্ছে ফ্রান্সের জনগণ।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট শেষ হবে রাত ৮ টায়।
তবে বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মনে করছেন, নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে আপ্রাণ চেষ্টা এবং দল ন্যাশনাল র্যালি পার্টির অনেক নীতির ব্যাপারে সুর বদলালেও লে পেন অনেক ফরাসীরই মন জয় করতে পারেননি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের এ ভোটের আগে হওয়া জনমত জরিপগুলোতে এমানুয়েল ম্যাখোঁকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় সামান্য এগিয়ে থাকতে দেখা গেলেও ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ ঘটিয়ে লে পেনের জয়ও অসম্ভব নয়।
তবে ভোটদানে অনেকের অনীহা এবং সিদ্ধান্তহীন বিপুল সংখ্যক ভোটার থাকায় লে পেন রানঅফের দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছেন।
লে পেন জিতলে ফ্রান্সের রাজনীতিতে সেই ওলট-পালট দেখার সম্ভাবনা থাকবে, যেমনটা হয়েছিল ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যে হওয়া গণভোট ও যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে হওয়া নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর।
দুজনেরই ভয়াবহ সব দুর্বলতা আছে। প্রতি দুই ভোটারের মধ্যে একজনেরও বেশি এমানুয়েল ম্যাখোঁকে উদ্ধত মনে করে, আর অর্ধেকের কাছেই মরিন লে পেন ভীতিকর,’ বলেছেন জরিপসংস্থা এলাবের বার্নার্ড সানানে।
লে পেন তার বিরুদ্ধে ওঠা বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, তার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে ফরাসী নাগরিকদের জন্য সামাজিক গৃহায়ন, চাকরি।
বিদেশিদের যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো বাতিল করে তিনি ধর্ম, জাতীয়তা নির্বিশেষে ফ্রান্সের সব নাগরিকের অত্যাধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চান।
দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও লে পেন শেষ পর্যন্ত পেরে উঠবেন না বলেই মনে করছেন জরিপসংস্থা হ্যারিস ইন্টারঅ্যাকটিভের জঁ-ডেনিয়েল লেভে।
এমানুয়েল ম্যাখোঁ জয়ী হলেও দ্বিতীয় মেয়াদে তার জন্য অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ব্যবসাবান্ধব নানান সংস্কার, অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫-তে নিয়ে যাওয়াসহ তার বেশকিছু নীতি তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়বে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা
মন্তব্য