-->

ম্যাখোঁর জয়ের পর প্যারিসে বিক্ষোভ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ম্যাখোঁর জয়ের পর প্যারিসে বিক্ষোভ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে গতকাল রোববার চূড়ান্ত পর্বের ভোটগ্রহণ শেষে তার জয়লাভের পরই প্যারিসে বিক্ষোভ হয়েছে।

পুলিশ সেই বিক্ষোভে টিয়ারশেল ছুড়ে, তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ম্যাখোঁর জয়লাভের পরই প্রতিবাদ করতে কিছু মানুষ প্যারিসের চ্যাটেলেটের কেন্দ্রীয় পাড়ায় জড়ো হয়েছিল।

এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল তরুণ। এরপরই পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর কট্টর বামপন্থী নেতা মারিন লো পেনকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পুনরায় ক্ষমতায় থাকছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর।

ফল এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে ভোটের পর জরিপগুলোর ফলাফল অনুযায়ী এমানুয়েল ম্যাখোঁ ৫৭ থেকে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

পক্ষান্তরে পেন ৪১ দশমিক ৫ থেকে ৪৩ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছেন। সবশেষে সারা দেশ থেকে আসা ফল পরীক্ষা করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল ফ্রান্সে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে এগিয়ে ছিলেন এমানুয়েল ম্যাখোঁ। লে পেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিতর্কে এমানুয়েল ম্যাখোঁ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন এমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এখনো ফ্রান্সের পুরো পরিবর্তন আসেনি।

করোনা মহামারি এবং জীবনযাপন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন এমানুয়েল ম্যাখোঁ।

এমানুয়েল ম্যাখোঁর বিরোধীরা তাকে অহংকারী এবং ধনীদের রাষ্ট্রপতি বলে অভিহিত করেন। এদিকে ডানপন্থী মারিন লে পেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ ছিল।

এদিকে এমানুয়েল ম্যাখোঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন ২০১৭ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে মাখোঁর কাছে দুর্দান্তভাবে পরাজিত হয়েছিলেন।

এ নিয়ে তিনবার ফ্রান্সের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নাম লেখান লে পেন। এবারও তিনি পরাজিত হলেন।

রয়টার্স

 

মন্তব্য

Beta version