-->

প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবলে জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক আরো খারাপ হবে: চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবলে জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক আরো খারাপ হবে: চীন

জাপান যদি চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিবেচনা করে এবং জনগণের মধ্য থেকে চীন বিরোধী মনোভাব অপসারণে ব্যর্থ হয় তবে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

জাপানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত কং জিয়ানয়ু এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ১ শতাধিক জাপানি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চীন-জাপান সম্পর্কে স্বাভাবিকীকরণের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে জাপান-চীন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অর্গানাইজেশন একটি সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে চীনা রাষ্ট্রদূত কং জিয়ানয়ু বলেন, বর্তমানে চীন-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থা ‘আদর্শ থেকে অনেক দূরে’।

চীনা রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে জাপানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বেইজিং হতাশ এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

জাপানের চীন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অনুসারে কং জিয়ানয়ু তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘জাপানের কিছু লোক যদি সংকীর্ণ ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তবে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা চীনকে অপছন্দ করবে। চীনকে হুমকি, এমনকি শত্রু হিসেবেও বিবেচনা করতে পারে। এবং তাঁরা চীনের বিরুদ্ধে নিজেদের দাঁড় করিয়ে ভুল পথে নিয়ে যাবে।’

চীন-জাপান সম্পর্ক বর্তমান একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রয়েছে উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রয়েছি। যেখান থেকে আমরা হয় আমরা হয় এগিয়ে যাব আর না হয় সম্পর্কের আরও অবনতি হবে।’

বেইজিং প্রাথমিকভাবে গত অক্টোবরে জাপানের ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী কিশিদাকে তাঁর পূর্বসূরি ইয়োশিহিদি সুগা ও শিনজো আবের চেয়ে বেশি চীন বিদ্বেষী হিসেবে বিবেচনা করেছিল।

কিন্তু সুগা ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির বেশ কিছু লক্ষণ দেখা গেছে। কিন্তু টোকিওর ওয়াশিংটন ঘেঁষা নীতি বেইজিংয়ের পছন্দ নয়। এশিয়ান ন্যাটো খ্যাত ‘কোয়াড’ জোটে জাপানের অংশগ্রহণকেও ভালো চোখে দেখছে না চীন।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

মন্তব্য

Beta version