জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে ১৩ সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে এটি পাস হতে পারেনি।
প্রস্তাবটি পাস হলে বৈধভাবে উত্তর কোরিয়ার তেল আমদানির পরিমাণ আরো কমে যেত।
বুধবার (২৫ মে) একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পরদিন উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তুলে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনকে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠতম মিত্র বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে ইউক্রেনে চলমান বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে।
চীন ও রাশিয়া বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিবর্তে একটি বাধ্যবাধকতাহীন বিবৃতি প্রকাশ করবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, কথায় কথায় একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত রাজনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানে মনযোগী হওয়া।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে উত্তর কোরিয়ার মানবিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রাশ টেনে ধরার জন্য গত ১৬ বছর ধরে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর ধীরে ধীরে অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এসব নিষেধাজ্ঞায় চীন ও রাশিয়ার সম্মতি ছিল। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মস্কো ও বেইজিং নিজেদের অবস্থান কঠোর করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য