-->
শিরোনাম

আয় বাড়াতে শিল্পপতিদের উপর ‘সুপার ট্যাক্স’ চাপাল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আয় বাড়াতে শিল্পপতিদের উপর ‘সুপার ট্যাক্স’ চাপাল পাকিস্তান
প্রতীকী ছবি

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার কার্যত অনেকটা শুন্য হয়ে গেছে। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ঠেকেছে তলানিতে। ‘পুরানা পাকিস্তান’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইমরান খানকে গদিচ্যুত করলেও সরকার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আর তাই এবার আয় বাড়াতে বৃহৎ শিল্প ও শিল্পপতিদের উপর ‘সুপার ট্যাক্স’ চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দেশকে আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএম) থেকে ঋণ নিতে চলেছে পাকিস্তান। এই মর্মে কথাবার্তাও কিছুটা এগিয়েছে।

এ বিষয়ে শুক্রবার দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, বৃহৎ শিল্প ও শিল্পপতিদের উপর ‘সুপার ট্যাক্স’ চাপিয়ে চলতি অর্থ বছরে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

তিনি আরও জানান, এক বছরের জন্য একবারই বৃহৎ শিল্পের উপর ১০ শতাংশ কর চাপানো হবে। এই তালিকায় রয়েছে চিনি, স্টিল, পেট্রোপণ্য, সার, সিগারেট, গাড়ি, ব্যাংক, কাপড়ের মতো ১৩টি বৃহৎ শিল্প। শুধু তাই নয়, সমস্ত শিল্পপতিদের বার্ষিক আয় ১৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা, তাদের উপরও ১০ থেকে ৪০ শতাংশ ‘ওয়ান টাইম’ কর চাপানো হবে।

পাক অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমি একটি সুখবর দিতে চাই। আমরা ফের বিদেশি ঋণ মেটানোর মতো ক্ষমতা ফিরে পেয়েছি। তবে অর্থনীতিকে ফের সবল করতে আমাদের অনেক কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফ এর পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমি শিল্পপতিদের আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন এই সাময়িক সমস্যায় আমাদের পাশে দাঁড়ান।'

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। ফলে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রাখতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে।

আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়েছে, খরচে রাশ টেনে সরকারকে আয় বাড়াতে হবে। রাজস্ব ঘাটতিতে লাগাম টানতে হবে। তবেই তারা ৯০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করবে। সব মিলিয়ে, এই মুহূর্তে করবৃদ্ধি ছাড়া ইসলামাবাদের সামনে সেই অর্থে অন্য কোনো পথও নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মন্তব্য

Beta version