ঢাকা: একজন মহিলা বিচারকের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ঘোষণার পর খানের বিরুদ্ধে অবমাননার একটি মামলা স্থগিত করেছে দেশটির আদাল। যে মামলায় শাস্তি হলে ইমরান খান পাঁচ বছরের জন্য কোন পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য অযোগ্য হতেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে বলছে- পাকিস্তানের একটি আদালত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা স্থগিত করেছে। আর এটি ঘটেছে যখন তিনি বলেছেন- তিনি একজন মহিলা বিচারকের বিরুদ্ধে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে ইচ্ছুক।
“আদালত চাইলে আমি মহিলা বিচারকের কাছে যাব এবং তার কাছে ক্ষমা চাইব। আমি কখনই এমন কিছু বলব না যা আদালত বা বিচার বিভাগের অনুভূতিতে আঘাত করবে,” খান বৃহস্পতিবার একটি শুনানির সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এ মন্তব্য করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়।
তিনি বলেন, “আমি আদালতকে আশ্বস্ত করছি- আমি ভবিষ্যতে এমন কিছু করব না। আমি দুঃখিত।”
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট রাজধানী ইসলামাবাদে একটি জনসভায় তিনি বক্তৃতা দেওয়ার পর খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল, যেখানে তিনি তার শীর্ষ সহযোগী শাহবাজ গিলকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিচারক জেবা চৌধুরী এবং ইসলামাবাদের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
ইমরান খানের এই মন্তব্য দোষী সাব্যস্ত হলে, পাকিস্তানের আইন অনুসারে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য পাবলিক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
ভোরের আকাশ/জেএস/
মন্তব্য