ঢাকা: ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়ান বাহিনীকে ইরানি ড্রোন সরবরাহের জন্য কিয়েভে দেশটিতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করছে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক মিশনের কর্মী সংখ্যা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জেলেনস্কি সরকার।
সিদ্ধান্তটি এমন সময় এসেছে, যখন ইরানে পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। এবং বিক্ষোভে কমপক্ষে ৫০ জন মানুষ মারা গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
রাষ্ট্রদূত বহিস্কারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বরাতে বলা হচ্ছে- ইউক্রেনে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার করেছে কিয়েভ সরকার। এর অংশ হিসেবে ইরানের রাষ্ট্রদূতের ইউক্রেন সরকারের পরিচয়পত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করে ইরান সরাসরি নিরপেক্ষ অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক কাজ করেছে। যেজন্য এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
দেশটি দাবি করছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের সামরিক কর্তৃপক্ষ ইতিমদ্যে ইরানে তৈরি চারটি শাহেদ-১৩৬ ‘কামিকাজে’ মানববিহীন আকাশযান (ড্রোন) গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে একটি ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখন পর্যন্ত মোট আটটি ইরানের তৈরি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
তিনি দাবি করেন- ‘রাশিয়ান সেনাবাহিনী ডিনিপ্রপেট্রোভস্ক অঞ্চল এবং ওডেসাতে তাদের হামলার জন্য ইরানী ড্রোন ব্যবহার করেছে। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে এই সত্যের উপর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছি।”
অপরদিকে ইরান কিয়েভ এবং ওয়াশিংটনের দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি- তেহরান বিধি মোতাবেক রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে।
ভোরের আকাশ/জেএস/
মন্তব্য