চীনে করোনায় এক মাসেরও বেশি সময়ে প্রায় ৬০ হাজার লোক মারা গেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে ভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করার পর কর্তৃপক্ষ এই প্রথম বিপুল লোকের মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করে।
সরকার শূন্য-কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পর থেকে করোনভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা রিপোর্টে কম দেখিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মৃতদেহগুলো দাহ করার স্থান এবং হাসপাতালগুলোতে মৃতদের সংখ্যা উপচে পড়ার প্রমাণ সত্ত্বেও শনিবারের ঘোষণার আগে ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র কয়েক ডজন মৃত্যুর রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছিল।
তবে ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের (এনএইচসি) একজন কর্মকর্তা শনিবার বলেছেন, চীনে ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে কোভিড-সম্পর্কিত রোগে ৫৯,৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যানটি শুধুমাত্র চিকিৎসা সুবিধায় মৃত্যুকে বোঝায়, মোট মৃতের সংখ্যা সংখ্যা বেশি হতে পারে।
এনএইচসি এর মেডিকেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যুরোর প্রধান জিয়াও ইয়াহুই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই ডেটাতে সরাসরি ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতার ঘটনায় ৫,৫০৩ জনের মৃত্যু এবং কোভিডের সাথে মিলিত অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে ৫৪,৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়।
বেইজিং গত মাসে কোভিড মৃত্যুর শ্রেণীকরণের জন্য তার পদ্ধতি সংশোধন করে বলেছে, এটি কেবলমাত্র তাদেরই গণনা করবে যারা বিশেষত ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতার কারণে মারা যায়। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল এবং বলেছিল যে এই সংজ্ঞাটি খুব সংকীর্ণ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও ‘অনুরোধ করেছে যে এই ধরনের বিস্তারিত তথ্য আমাদের এবং জনসাধারণের সাথে শেয়ার করা অব্যাহত রাখা হোক’।
এতে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসাস এবং চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওইয়ের মধ্যে আলোচনার সময় অনুরোধটি করা হয়েছিল।
হু বলেছে, টেড্রোস ‘কোভিড-১৯ মহামারীর উৎস বোঝার বিষয়ে চীনের গভীর সহযোগিতা এবং স্বচ্ছতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
বাসস
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য