যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে ছোট্ট পরিসরে অ্যাঙ্কা ফোরের সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন অলড্রিন।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের বুকে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন নিল আর্মস্ট্রং। তার কিছুক্ষণ পরই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রযান থেকে চাঁদে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পা রাখেন বাজ অলড্রিন। চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঁটা এই অলড্রিন সম্প্রতি ৯৩ বছর বয়সে চতুর্থবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ড. অ্যাঙ্কা ফোরকে (৬৩) বিয়ে করেছেন ইতিহাস সৃষ্টিকারী এ নভোচারী। খবর বিবিসির।
শুক্রবার টুইটারে পোস্ট করে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন অলড্রিন। চন্দ্রাভিযানের অন্যতম শরিক এ মহাকাশচারী টুইটারে লেখেন, ‘৯৩তম জন্মদিনে এবং যে দিনে আমি অ্যাভিয়েশনের জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে সম্মানিত হলাম, সেদিনই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা অ্যাঙ্কা ফোরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।’
‘পালিয়ে যাওয়া কিশোর-কিশোরীদের মতো’ এ নবদম্পতি এখন রোমাঞ্চ অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন অলড্রিন।
টুইটারে অলড্রিনের শেয়ার করা পোস্টটি মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়েছে। নেটিজেনরা অলড্রিন-ফোর দম্পতিকে জানিয়েছেন অভিনন্দন। অলড্রিনের করা পোস্টে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন যে, ‘শুভ জন্মদিন বাজ। আপনার বিবাহের জন্য অভিনন্দন। আমি আপনার জন্য রোমাঞ্চিত। বরাবরের মতো আপনি নিজের ভিন্নধর্মী স্টাইলে এই কাজ করেছেন।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘অভিনন্দন কর্নেল অলড্রিন! ৯৩-এ আপনার জীবন শুরু হল। এটাই সেরা ছিল।’
তবে প্রথমবার নয়; অলড্রিন এর আগেও তিনবার বিয়ে সেরেছেন। জোন আর্চারের সঙ্গে ১৯৫৪ সালে প্রথম বিয়ে করেন অলড্রিন। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্তরে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তারা। বিয়ের ২০ বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। ১৯৭৫-এ অলড্রিন বিয়ে করেন বেভারলি ভ্যান জিলকে। বিয়ের মাত্র তিন বছর পর ১৯৭৮ সালে সম্পর্ক ভাঙে অলড্রিন-জিলের।
এরপর তৃতীয় বার লোয়ি ড্রিগস ক্যাননের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অলড্রিন। তবে এ সম্পর্কও টেকেনি। ১৯৮৮ সালের বিয়ের সেই সম্পর্ক ভাঙে ২০১২-তে। এবার নিজের তৃতীয় বিয়ের দীর্ঘ ৩৪ বছর পর চতুর্থবারের মত বিয়ে করলেন চন্দ্রবিজয়ী এ নভোচারী।
রোমানিয়ায় জন্ম নেওয়া ফোর বর্তমানে ‘বাজ অলড্রিন ভেঞ্চার্স’ এর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি পিটর্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেছেন।
একজন নভোচারী হিসাবে অলড্রিনের নিজের সাফল্যমন্ডিত কর্মজীবনে তিনবার মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শত শত উল্লেখযোগ্য অর্জনের পর ১৯৭১ সালে অবসরগ্রহণ করেন অলড্রিন। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানে করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া তিন নভোচারীর মধ্যে বর্তমানে অলড্রিনই এখনো বেঁচে আছেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য