আজ নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণ স্মরণে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযথভাবে পালন করেছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্সে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসভায় তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতাকামী বাঙালিদেরকে তৎকালীন পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক সংগ্রাম পরিচালনার আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং পরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয় । আলোচনায় অংশ নেন হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান ও মিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা ও স্বাধীনতার সনদ হিসেবে বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের ইতিহাসে একটি বড় উদাহরণ যে , স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়াই করতে কীভাবে একটি ভাষণ সমগ্র জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি জাতির পিতার স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার স্বীকৃতি।
পরে বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে যথাযথভাবে দেশের কলকাতা, মুম্বাই, আগরতলা এবং গৌহাটিতে বাংলাদেশের ডেপুটি এবং সহকারী হাইকমিশনেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
-বাসস
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য