ভারতে রামনবমী উপলক্ষে পূজা দিতে গিয়ে কূপে পড়ে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরের শ্রী বালেশ্বর মহাদেব মন্দিরে পুণ্যার্থীদের চাপে পুরোনো ১টি কূপ ঢেকে রাখতে ব্যবহৃত স্ল্যাব ভেঙে পড়লে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শ্রী বালেশ্বর মহাদেব মন্দিরে অসংখ্য পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন। পূজা চলার সময় পুণ্যার্থীদের অনেকেই মন্দিরের ভেতর একটি কূপ ঢেকে রাখতে ব্যবহৃত স্ল্যাবের ওপর উঠে পড়েন। বহু পুরোনো এই কূপের মুখ কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে ঢাকা ছিল। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে পুণ্যার্থীদের বাড়তি চাপে স্ল্যাবটি ভেঙে পড়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ইন্দোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (কালেক্টর) ইলায়ারাজা টি বলেন, ‘মোট ৩৫ জন মারা গেছেন। ১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২ ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসা ফিরেছেন। নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়েছে এবং এখনো চলছে।’ এ মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে আছে একটি বেসরকারি ট্রাস্ট।
নগরবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের এপ্রিলে এই স্ল্যাবটিকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে ইন্দোরের সিটি করপোরেশন একে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ মর্মে মন্দিরের ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় সিটি করপোরেশন। প্রত্যুত্তরে মন্দিরের ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সতর্কবাণী দেয়া হয়, এ ধরনের কাজকে ভক্তদের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ফলে এই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ৫ লাখ রুপি ও আহত ব্যক্তিদের জন্য ৫০ হাজার রুপি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, ‘ইন্দোরের এ দুর্ঘটনায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আমি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জেনেছি। রাষ্ট্র সরকার দ্রুতগতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে। হতাহত ও তাদের পরিবারের জন্য আমি প্রার্থনা করছি।’ প্রায় ৪ যুগ আগে কূপ ঢেকে দিয়ে বালেশ্বর মহাদেব মন্দির নির্মাণ করা হয়।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য