দেশের ৫ কোটির বেশি মানুষ কণ্ঠের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্বরভঙ্গে। এছাড়া দেশের ক্যানসার আক্রান্তদের প্রায় ৩০ শতাংশই নাক, কান ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত। তাদের এক-তৃতীয়াংশ শুধু গলার ক্যানসারে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও নাক-কান-গলা বিশেষ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি দিবসের কাজ হলো সচেতন করা। প্রথমে পেশাজীবীদের সচেতন করা।
মোবাইলে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। অনুষ্ঠানে ২০ মিনিটের বেশি বক্তব্য দেয়া ভালো নয়। মোবাইলে ৩০ সেকেন্ডের বেশি কথা বলা ঠিক নয়। রাতে ঘুমানোর আড়াই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। সকালে ও রাতে গরম পানি খেলে গলা ভালো থাকে। কোনো ৪০ বছর বয়সের ব্যক্তি যদি ১৫ দিনের বেশি গলা ভেঙে থাকে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, কণ্ঠের যত্ন নেয়ার বিকল্প নেই। খালি পেটে গরম পানি খেলে গলা পরিষ্কার হলেও চোখের গøুকোমা হতে পারে। কিছু খেয়ে গরম পানি খাওয়া উচিত। আমরা ঠান্ডা পানি, অ্যালকোহল খাব না। মানুষ যেন ঠিকমতো কণ্ঠের ব্যবহারে আরো যত্নশীল হয়। টানা ২০ মিনিটের বেশি কথা বলা উচিত নয়।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের টানা বেশি জোরে কথা না বলে আস্তে আস্তে কথা বলা উচিত। কণ্ঠের যেকোনো ধরনের সমস্যার সুচিকিৎসা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। কণ্ঠের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে যত ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিএসএমএমইউর ইএনটি ও হেডনেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মনজুরুল আলম বলেন, আসলে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস, প্রথম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। ব্রাজিলিয়ান সোসাইটি অব ভয়েস, তারা প্রথম শুরু করে। পরে ২০০২ সালে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ল্যারিংগোলজি (এটাও একটি ভয়েজ সোসাইটি) এটা সমর্থন করে।
সারা বিশ্বে এরা কণ্ঠস্বরের যত্ন এবং কণ্ঠস্বর ভঙ্গে প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করে এবং যারা প্রফেশনাল ভয়েস ইউজার, তাদের সতর্ক করে এবং কণ্ঠস্বর নষ্ট হয়ে গেলে তার পুনর্বাসনের চিন্তাভাবনা করে এবং এগুলোর বিষয়ে গবেষণাভিত্তিক আলোচনার জন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য ১৬ এপ্রিল বিশ্ব কণ্ঠ দিবস পালন শুরু করে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য