বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট রয়েছে। এর ফলে শিল্প উৎপাদন ও পরিষেবায় বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়া ও বিনিময় হারের চাপ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। এর ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে এখন আন্তর্জাতিক লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ কারণে এসব দেশে আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, উচ্চ মাত্রায় খেলাপি ঋণ, পুঁজির ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের দুর্বলতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশের আর্থিক খাতে উচ্চ ঝুঁকি রয়ে গেছে। এসব দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশে করপোরেট খাতে সুশাসনের দুর্বলতা ও পুঁজির সংকটও আর্থিক খাতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এ ছাড়া বেশি পরিমাণে সরকারি ও বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং আর্থসামাজিক উত্তেজনা প্রভৃতি কারণে এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে আর্থিক সংকটের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব সংকট শেষ পর্যন্ত দেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে বলেও বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পরে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দারমিত গিল বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত অবস্থানে রয়েছে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণের চাপ বাড়ছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য