ইকুয়েডরের বন্দর নগরী গুয়াকুইলে সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী দূর্বৃত্তদের বন্দুকযুদ্ধে ছয়জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান মাদক সহিংসতার কারণে সেখানে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
পুলিশ কর্নেল মার্সেলো কাস্তিলা এএফপি’কে বলেন, এই মাসে গুয়াকিলের দ্বিতীয় গোলাগুলিতে ছয়জন মারা গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দূর্বৃত্তদের মধ্যে পূর্বের রেশারেশির জের ধরে এ সহিংসতা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।-বাসস
প্রসিকিউটরের কার্যালয় পরে বলেছে, আরও আটজনকে আহতকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ সহিংস ঘটনার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের মাদকের বাজারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় ইকুয়েডরে, বিশেষকরে গুয়াকিলে এই ধরনের হামলার প্রবণতা বেড়েই চলেছে।
কাস্তিলো জানান, সোমবারের গোলাগুলির ঘটনায় হামলাকারীরা একটি কালো গাড়িতে করে একটি জনবহুল পাড়ায় ভোরে পৌঁছে। ‘চার-পাঁচজন বেরিয়ে বেশ কিছু মানুষ রাস্তায় থাকা অবস্থায় গুলি চালায়।পুলিশ কর্নেল বলেন, এটি পূর্বের সহিংসতার জের ধরে প্রতিশোধ। তারা নৃসংসভাবে পরস্পরকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের ‘অপরাধ জগতের’ বলে রেকর্ড রয়েছে এবং আহতদের একজন মাদক পাচারে জড়িত বলে পরিচিত। কাস্তিলো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৩২টি কার্তুজ পাওয়া গেছে।
ইকুয়েডরের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত গুয়াকিল হল দেশের বৃহত্তম নগর, বৃহত্তম বন্দর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি ক্রমবর্ধমান তুমুল ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কেন্দস্থল হয়ে উঠেছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য