পাকিস্তানের অষ্টম তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক সিনেটর এবং বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) নেতা আনোয়ার-উল-হক কাকার। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ ও পাকিস্তান অবজারভার জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ভবন আইওয়ান-ই-সদরে আনোয়ার-উল-হক কাকারকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
খবরে বলা হয়েছে, কাকারের শপথের সময় উপস্থিত ছিলেন সদ্য-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্যরা। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর আনোয়ার-উল-হক কাকারের শপথ নেয়ার কথা ছিল রোববার (১৩ আগস্ট)। তবে নির্ধারিত সেই সময়ের একদিন পর তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টিভিতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন আনোয়ার-উল-হক কাকার। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পায় পাকিস্তান।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ রোববার মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার প্রতি আমার আস্থা আছে।’ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এখন কাকার দেশ পরিচালনার জন্য একটি মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। সংবিধান অনুযায়ী তার দায়িত্ব গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকারকে নিয়োগের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তারপর প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকারকে নিয়োগের অনুমোদন দেন। সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদের অধীনে তিনি এ নিয়োগের অনুমোদন দেন। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ৩ দিন আগে গত ৯ আগস্ট রাতে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
ভোরের আকাম/মি
মন্তব্য