মিয়ানমানের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দাঁতের মাড়ির সংক্রমণের কারণে কয়েকদিন ধরে কিছুই খেতে পারছেন না তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন সু চির ছেলে কিম আরিস।
তিনি জানিয়েছেন, তার মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। দুই বছর ধরে জেলে থাকার কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
কিম আরিস আরও জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী সু চিকে কোনো ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি কয়েকদিন আগে তিনি যখন হাঁটতে পারছিলেন না তখনো তাকে কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তিনি বমি, মাথা ঘোরা এবং দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন।
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘কারাগারের বাইরের কেউ দীর্ঘ দিন সু চি-কে দেখেননি। এখন তিনি খেতে পারছেন না, এতে তার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বার্মায় (মিয়ানমারে) কারাগারের ভেতর অনেক মানুষ মারা গেছেন। ফলে তার বিষয়টি উদ্বেগজনক।’
সু চির স্বাস্থ্য এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে— ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী এতে বাধা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কিম আরিস।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি যা জেনেছি, মাড়ির সংক্রমণের কারণে আমার মা (সু চি) খেতে পারছেন না। একটা সময় হাঁটতেও পারছিলেন না। তার বয়স বিবেচনা করে, সঙ্গে বমি এবং মাথাঘোরা, তার স্বাস্থ্যগত দিকটি নিয়ে বড় উদ্বেগ তৈরি করেছে।’
অং সান সু চি ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। ওই সময় তার এ পুরস্কারটি গ্রহণ করেছিলেন কিম আরিস।
তিনি জানিয়েছেন, এর আগে যখন তার মাকে সেনাবাহিনী আটক করেছিল তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দিত। কিন্তু ২০২১ সালে আটকের পর একবারের জন্যও নিজ মাকে দেখতে দেওয়া হয়নি তাকে। কিম আরিস বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন। সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি সেখানে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য