আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। ওই অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানে ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দুদিন ধরে ওই অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে আজারবাইজানের সেনারা। সেখানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে আজারবাইজানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
আজারবাইজান বলছে, কারাবাখের জাতিগত আর্মেনিয়ানরা আত্মসমর্পন না করলে এই অভিযান থামবে না। বিচ্ছিন্ন ওই অঞ্চলের চারপাশে কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনা বেড়ে গেছে। প্রায় তিন বছর আগেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।
নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযান শুরুর পর থেকে দুই বেসামরিক নাগরিকসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকেই। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক যান, আর্টিলারি এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
নাগোরনো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ১৯৯০’র দশকের শুরুর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এই দেশ দুটি বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে সে সময় দুপক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
পরবর্তীতে আর্মেনিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার হস্তক্ষেপে তারা শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়। নাগোরনো-কারাবাখে কয়েক হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করে নেয় মস্কো।
এদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান অভিযোগ করেছেন যে, ওই অঞ্চলে জাতিগত নিধনের উদ্দেশেই অভিযান শুরু করেছে আজারবাইজান।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওই অঞ্চলে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভকে আহ্বান জানিয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য