আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ কিছু দিন ধরে অস্থিতিশীল। যদিও সোমবার (১৬ অক্টোবার) তেলের দাম এক ডলার কমার পর মঙ্গলবার কিছুটা স্থির হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের উত্তেজনা কমাতেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টর্সের।
মঙ্গলবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বেড়ে ৮৯ দশমিক ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ সেন্ট বেড়ে ৮৬ দশমিক ৮৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, ভেনেজুয়েলার সরকার ও বিরোধীদলগুলো নতুন করে আলোচনার টেবিলে বসার পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে। ২০১৯ সালে দেশটির তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
মূলত বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে দেশটি তেলের সরবারাহ বাড়াতে চায়।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কায় গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম বাড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা সাপ্তাহিকভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ ছিল।
এদিকে হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার (১৬ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্য সফররত ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন প্রকাশ পাবে।
তাছাড়া চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্যও এ সফরে যাচ্ছেন বাইডেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য