হামাস পরিচালিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে মঙ্গলবার কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেছে, এক জঙ্গি কমান্ডারকে লক্ষ্য করে তারা এ হামলা চালিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শিবিরে একটি বিশাল এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি শহীদ এবং প্রায় ১৫০ জন আহত এবং ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে।’বাসস
ঘটনাস্থল থেকে এএফপি’র ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলার পর ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত ৪৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক ডজন দর্শককে দু’টি বিস্তীর্ণ গর্তের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। লোকরা তখন জীবিতদের উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজ করছিল।
কয়েক ঘন্টা পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা জাবালিয়া ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হামাসের প্রধান কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারিকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘এই হামলায় এলাকায় হামাসের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেই সাথে গাজা উপত্যকা জুড়ে পরিচালিত আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করার ক্ষমতা খর্ব হয়েছে।
আইডিএফ বলেছে, ‘হামলায় হামাসের ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোও ধসে পড়েছে।’ জাবালিয়ার বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সী রাগেব আকল এই হামলাকে ‘একটি ভূমিকম্প’ বলে বর্ণনা করেছেন যা পুরো শরণার্থী শিবিরকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
আকল এএফপি’কে বলেন, ‘আমি গিয়ে ধ্বংসলীলা দেখেছি। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বাড়িঘর এবং শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং বিপুল সংখ্যক শহীদ ও আহত দেখেছি।’
তিনি বলেন, লোকেরা এখনও ‘শিশু, মহিলা এবং বয়স্কদের দেহাবশেষ পরিবহন করছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, জাবালিয়ায় হামলার আগে পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৮,৫২৫ জন নিহত হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য