ভারতের দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সোমবারের এ বৈঠকে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সভাটি এমন এক সময়ে ডাকা হলো যখন ভারতের রাজধানী সব ধরনের বায়ুদূষণের সঙ্গে লড়াই করছে। বায়ু মান সূচকে (একিউআই) টানা পঞ্চম দিনের মতো গতকাল সোমবার সকালেও দিল্লির বায়ু মারাত্মকভাবে দূষিত ছিল। এখনো তা ‘গুরুতর’ বিভাগেই রয়েছে।
দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তা, সেতু এবং বিদ্যুৎ লাইনের মতো পাবলিক প্রকল্পগুলোসহ সমস্ত নির্মাণকাজ স্থগিত করা হয়েছে। দিল্লি সরকার পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়নি, তবে তারা ইচ্ছা করলে অনলাইনে ক্লাস চালাতে পারবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিষাক্ত ধোঁয়ার মোড়কে দিল্লিতে সোমবারও শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে। শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শ্বাসকষ্ট এবং চোখের রোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় দিল্লি এবং কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি, পৌরসভা এবং বেসরকারি অফিসগুলোকে তাদের অর্ধেক কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।
গত কয়েকদিনে দিল্লিজুড়ে প্রতি ঘনমিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম পিএম২.৫ আণুবিক্ষণিক কণার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে, যা ভারত সরকার নির্ধারিত নিরাপদ সীমার সাত থেকে আট গুণ বেশি। এই কণা ফুসফুসের গভীরে ঢুকে স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। দিল্লির বায়ুর গুণমান বিশ্বব্যাপী রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বায়ুদূষণ প্রায় ১২ বছর আয়ু কমিয়ে দেয়। দিল্লির বাতাসে আণুবিক্ষণিক কণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদসীমা প্রতি ঘনমিটামে ৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে ৮০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য