হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার রাতে বলেছে, গাজার হাসপাতাল এবং ‘রোগীদের অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে’। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলের অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউস এ কথা বলে। দেশটি গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে সেনা পাঠানোর পর এমন প্রশ্ন করা হয়। খবর এএফপি’র।
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, হোয়াইট হাউস গাজায় ‘ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবে না।’বাসস
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, আল-শিফা হাসপাতালে হাজার হাজার রোগীর এবং আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেসামরিক নাগরিকদের আড়ালে ফিলিস্তিনি জঙ্গি গ্রুপ হামাসের একটি কমান্ড লুকিয়ে রয়েছে।
মুখপাত্র আরো বলেন, ‘যেমন আমরা বলেছি, আমরা কোন হাসপাতালে বিমান হামলা সমর্থন করি না এবং আমরা এমন একটি হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ দেখতে চাই না যেখানে নিরপরাধ মানুষ, অসহায় মানুষ, অসুস্থ ব্যক্তিরা তাদের প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা পেতে চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল এবং রোগীদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েল অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়ার সম্ভবত আগে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলার পর এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, হাজার হাজার রোগী, কর্মচারি এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিক হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল বলেছে, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় ১,২০০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় হামাস যোদ্ধারা ২৪০ জনকে জিম্মি করে।
এদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান ও স্থল হামলায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং অর্ধেক নারী ও শিশু।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য