-->
শিরোনাম
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

২০২৪ সালে তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০২৪ সালে তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে

বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা কখন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে ছাড়িয়ে যাবে? যা হবে প্রাক শিল্পযুগেরও চেয়েও বেশি। এমন কিছু দিন আছে যখন বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ওই মাত্রাকে অতিক্রম করেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো একক বছরই সামগ্রিকভাবে এত গরম ছিল না।

 

কিন্তু ২০২৪ সালে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। আবহাওয়া সংস্থাগুলো বার্ষিক গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা নির্ধারণের জন্য সারা বিশ্ব থেকে বছরজুড়ে তাপমাত্রার তথ্যসংগ্রহ করে। প্রতি জানুয়ারিতে প্রকাশিত এই সংখ্যা ২০ শতকের প্রথম দিক থেকে বেড়ে চলেছে, তবে তা পদ্ধতিগতভাবে নয়। গ্রিন হাউস গ্যাসের কারণেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। তাছাড়া বৈশ্বিক জলবায়ু ব্যবস্থার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে কিছু বছর অন্য সময়ের চেয়ে বেশি গরম অথবা বেশি ঠান্ডা হয়।

 

এই ধরনের সবচেয়ে বড় গরম ও ঠান্ডা চক্র হলো এল নিনো সাউদার্ন অসিলাটিও। এই প্যাটার্ন নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পানির মধ্যে ও তার উপরে শুরু হয়, যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও তার বাইরে আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। লা নিনা, নিরপেক্ষ ও এল নিনো এই তিনটির মধ্যে বিকল্প হিসেবে রয়েছে এনসো। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা হলো লা নিনা। আর গরম হলো এল নিনো। এই দুইটি প্যাটার্নেই আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরূপ থাকে।

 

২০২০ সালের মাঝা-মাঝি থেকে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে এনসো একটি লা নিনা প্যাটার্নে ছিল। এসময় বেশ কিছু আবহাওয়া প্যাটার্ন দেখা যায়। যেমন ২০২২ সালে পাকিস্তানের নজিরবিহীন বন্যা। দীর্ঘ লা নিনা সাময়িকভাবে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রাকে বিষণ্ণ করে, ঢেকে রাখে কার্বন ডাই অক্সাইডের ফলে সৃষ্ট উষ্ণতাকে।

 

কিন্তু বিপরীত চিত্র দেখা যাবে ২০২৪ সালে। ২০২৩ সালের জুনে এনসো রূপান্তরিত হয় এল নিনোতে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রাকৃতিক ইভেন্টটি বৈশ্বিক উষ্ণতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। সবশেষ এ ধরনের আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল ২০১৫-২০১৬ সালে। এতে ২০১৬ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। সব ধরনের তথ্য সামনে এলে ২০২৩ হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। যদি তা না হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ২০২৪।

 

এর আগে গবেষকরা বলেছেন, চরম বৈশ্বিক এই তাপমাত্রা ২০২৩ সালের মতোই সম্ভবত ২০২৪ সালেও অব্যাহত থাকবে। ২০২৩ এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হবে। কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের মতে, অক্টোবর সেপ্টেম্বরের মতো অস্বাভাবিকভাবে গরম ছিল না, কিন্তু তারপরও রেকর্ড ভেঙেছে। মাসটি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর সময়ের হিসাব করলে সেই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version