-->

যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন হামাস নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন হামাস নেতা

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়ে সেটি তারা মূল্যায়ন করে দেখছে বলে জানিয়েছে । প্রস্তাবটিতে ‘তিন পর্যায়’ এর যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে বলে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন।

 

নভেম্বরের সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিকেই এ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে জোরালো শান্তি উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির জন্য দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলার পর প্রস্তাবটি দিয়েছেন।

 

নভেম্বরের শেষ দিকের সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিকেই এ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে জোরালো শান্তি উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নতুন প্রস্তাবটিতে তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত, এটি শুরু হওয়ার পর গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি ৭ অক্টোবর বন্দি করা জিম্মিদের মধ্যে প্রথমে অবশিষ্ট বেসামরিকদের মুক্তি দেবে, তারপর ইসরায়েলি সেনাদের আর চূড়ান্ত পর্যায়ে নিহত জিম্মিদের মৃতদেহ ফেরত দেবে।

 

কিন্তু পর্যায়গুলো কতোদিন স্থায়ী হবে বা চূড়ান্ত পর্বের পর পরিকল্পনা কী, এ নিয়ে কিছু জানাননি তিনি। নভেম্বরের সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে পরার পর থেকে এই প্রথম নতুন একটি প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রকাশ হল যা উভয়পক্ষই বিবেচনা করে দেখছে।

 

প্যারিসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিশরের গোয়েন্দা প্রধানদের মধ্যে আলোচনার পর এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ যে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার কায়রো যাওয়া থেকে। হানিয়া জানিয়েছেন, তিনি প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করতেই সেখানে যাচ্ছেন।

 

হানিয়া জানভন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি তিনি পড়ে দেখছেন। তবে তাদের দিক থেকে প্রধান শর্ত হচ্ছে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করবে এবং গাজা থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘পূর্ণ বিজয়’ না আসা পর্যন্ত গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে না বলে নিজের অবস্থান ফের জানান দিয়েছেন।

 

ফিলিস্তিনের ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ইসরায়েলি বসতি পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, “আমরা পূর্ণ বিজয় ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে সমঝোতা করবো না। এর অর্থ হচ্ছে হামাসকে নির্মূল করা, আমাদের সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা এবং গাজা আর কখনোই ইসরায়েলের জন্য কোনো হুমকি হবে না এটি নিশ্চিত করা।”

 

‘তিন পর্যায়ের’ যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন হামাস নেতা তার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগার থেকে কোনো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

 

যুদ্ধরত দুই পক্ষের প্রকাশ্য অবস্থানের এই বিশাল পার্থক্য ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে এমনকী সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির অবস্থান থেকেও দুই পক্ষ কতোটা দূরে আছে। তবে গাজা যুদ্ধ শেষ করার একটি উপায় বের করতে ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটনের চাপে আছেন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের দেশে থাকা উদ্বিগ্ন আত্মীয়রা মনে করছেন, শুধু মধ্যস্থতার মাধ্যমেই তাদের স্বজনদের দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে; তারাও নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন।

 

কিন্তু নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন জোটের চরম ডানপন্থি দলগুলো জানিয়েছে, বরং তারা জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবে তবুও হামাসকে অক্ষত রেখে জিম্মি মুক্তির কোনো চুক্তিতে সম্মতি দেবে না।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version