-->
শিরোনাম

ইসরায়েলে ইরানি হামলা সন্নিকটে

সিরাজুল ইসলাম
ইসরায়েলে ইরানি
হামলা সন্নিকটে

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে যেকোনো মুহূর্তে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী এই প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইরান থেকে ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা না হওয়ায় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অনেকেই বলছেন ইরান কি আবারও ফাঁকা বুলি দিল? কেউ কেউ বলছেন ইরান কি প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েলে হামলা চালাতে চায়? কেউ বা বলছেন ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা ইরানের আছে কি? অনেকে বলছেন, ইরান শুধু হুমকি দিয়েই শেষ করবে, আমেরিকার সক্রিয় উপস্থিতির কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান হামলা চালাবে না। এ ধরনের নানা প্রশ্ন এবং নানামুখী আলোচনা যারা করছেন তারা সবাই একটা বিষয় খেয়াল করছেন না অথবা ভুলে যাচ্ছেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যখন ঘোষণা দিয়েছেন তাদের ‘প্রিয় মেহমান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে তখন এই ব্যাপারে আর সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই ঘোষণার অর্থই হচ্ছে ইরানি সামরিক বাহিনীকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন ইরানি বাহিনী তাদের সময় ও সুযোগ মতো হামলা করবে। এ বিষয়ে ইরানের সদ্য বিদায়ী প্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি এবং নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি থেকে শুরু করে ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা করবে। ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। হামাস নেতাকে তেহরানের মাটিতে হত্যার মতো জঘন্য এবং দুঃসাহসিক অপরাধ কোনোভাবেই বিনা জবাবে পার পাবে না।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব রক্ষার জন্য যে বিশেষ বাহিনী গঠিত তার নাম হচ্ছে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। এই বাহিনীর বর্তমান প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তিনিও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযান চালানোর অঙ্গীকার ব্যাখ্যা করেছেন।

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রায়িসি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে সংস্কারপন্থি প্রার্থী ডক্টর মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এ প্রেক্ষাপটে অনেকে ধারণা করতে শুরু করেছিলেন বা এখনো করছেন যে, তিনি হয়তো ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে যাবেন না কারণ তিনি কিছুটা পশ্চিমা ঘেঁষা। কিন্তু এই ধারণাও ভুল। কারণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল এখতিয়ার সর্বোচ্চ নেতার। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট যেহেতু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইরানি জনগণের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শপথ নিয়েছেন, সেক্ষেত্রে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার জবাব প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে দিতেই হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ তার নেই। এছাড়া ইরানের জাতীয়তাবাদের যে ঐতিহ্য, ধারা এবং রক্ত প্রবাহ তাতে ইসরায়েলের এই রকমের হামলা ইরান হজম করবেÑ এটি ইরানের সঙ্গে, তার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না। সে কারণে ইরান থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা হবে এটি নিশ্চিত। এখন প্রশ্ন থাকছেÑ কবে বা কখন সে হামলা হবে।

আমরা সবাই জানি মহররম মাস শিয়া মাযহাবের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে নবীজির প্রিয় নাতি ইমাম হোসাইনকে (রা.) এজিদ বাহিনী কারবালার প্রান্তরে শহীদ করে। ইমাম হোসাইনকে শিয়া মাযহাব তৃতীয় ইমাম বলে মনে করে। সেক্ষেত্রে ইরানসহ সারা বিশ্বের শিয়া মুসলমানরা ১০ই মহররম ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পালন করে। এছাড়া, ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের চল্লিশা পালন করাও শিয়া মাযহাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আনুষ্ঠানিকতা। ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের চল্লিশতম দিন উপলক্ষে ইরাকের কারবালা শহরে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ শোক পালনের জন্য জড়ো হন। এ বছরও একইভাবে ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ৪০তম দিন শিয়া মাযহাবের অনুসারীরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পালন করেছেন। ২৫ আগস্ট রোববার কারবালায় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এবারের চল্লিশাতে দুই কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৫২৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছেন। এই বিরাট অনুষ্ঠানে শুধু ইরান থেকে অংশ নিয়েছেন ৩৫ লাখ মানুষ। ফলে, আমি আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলাম যে, আশুরা এবং চল্লিশা পার না হওয়া পর্যন্ত ইরান কোনো প্রতিশোধমূলক হামলায় যাবে না।

এর কারণ হচ্ছে ইরান দুইদিক দিয়ে চিন্তা করছে। একটি চিন্তা হচ্ছে হামলা চালানোর পর ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে ইরানের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। তখন আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানিসহ যেসব পশ্চিমা দেশের সেনাবাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে উপস্থিত আছে তাদের ভূমিকা কি হবে সেটা ইরানকে মাথায় রাখতে হচ্ছে। যদি তারা সবাই জড়িয়ে যায় তাহলে যুদ্ধ বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে। এই আশঙ্কাকে সামনে রেখে ইরান ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ৪০তম দিন পালন করার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলায় যাবে। আরেকটি হচ্ছে ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর পর যদি ইসরায়েল আগের বারের মতো বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে অর্থাৎ ইরানে পাল্টা হামলা না চালায় তাহলে ইরানও ইসরায়েলের দ্বিতীয় আঘাত হানতে যাবে না। কিন্তু ইরান নিশ্চিত নয় যে, ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাবে কি, চালাবে না। এ কারণে ইরানকে ইমাম হোসাইনের ৪০তম দিন পালন করার পর হামলার চিন্তা করতে হচ্ছে।

২৫ আগস্ট যেহেতু চল্লিশা পার হয়েছে সে কারণে এখন ধারণা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ইরান ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাবে। ইরানের সব পর্যায়ে থেকে বারবারই বলা হয়েছে এবারের হামলা হবে আকস্মিক, বিস্ময়কর এবং আগের চেয়ে বৃহৎ পরিসরে। তবে কবে কখন হামলা হবে তা কোনোভাবেই প্রকাশ করা হবে না। সে জন্য ইরানের সম্ভাব্য হামলার একেবারে নিখুঁতভাবে দিন তারিখ বা সময় বলা যাবে না কিন্তু ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ৪০তম দিন পার হওয়ার কারণে একথা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে যে, হামলা আর খুব বেশি বিলম্বিত হবে না। তবে হ্যাঁ, ইরানের কাছে যদি এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য থাকে যা ইরানের জন্য হামলার পথে কোনো রকমের ঝামেলার কারণ, তা হলে হয়তো ইরান আরেকটু সময় নিতে পারে।

এখানে একটি বিষয়ে সামান্য একটু আলোচনা করা অপরিহার্য। সেটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে আমেরিকার দুটি বিমানবাহী রণতরী উপস্থিত রয়েছে। তাতে এফ-১৬ এবং এফ-১৮ হর্নেট যুদ্ধবিমান রয়েছে। এছাড়া ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেটসহ নিকটবর্তী অঞ্চলে মার্কিন সাবমেরিন থাকাও অসম্ভব কিছু নয়। বাহরাইনের উপকূলে রয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পঞ্চম নৌ বহরের ঘাঁটি। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আমেরিকার বহু সংখ্যক সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ অবস্থায় ইরান কি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে সুবিধা করতে পারবে? অথবা আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিতে পারে কিন্তু ইরানের পক্ষে এরকম বৃহৎ কোনো শক্তি এগিয়ে আসবে কি?

ইরানের যে নীতিগত অবস্থান তার আলোকে এসব প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, আমেরিকাসহ কোন কোন দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন করবে বা ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে লড়াই করবে অথবা ইসরায়েলকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে সেটা ইরান তার প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেবে না। এগুলো ইরান হিসাব-নিকাশ করেই হামলার ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের প্রখ্যাত জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মার্কিন সেনারা হত্যা করার পর ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরান এককভাবে হামলা চালিয়েছিল, আমেরিকার ঘাঁটি বলে ইরান মোটেই সমীহ করেনি। এখনো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন উপস্থিতির কারণে ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাবে না এটা ভাবার কারণ নেই। সর্বোপরি ইরানের পক্ষে চীন বা রাশিয়ার মতো কোনো শক্তি দাঁড়ালো কিনা সে বিষয়টিও ইরান হিসাবে নেবে না। কারণ ইরান পরিষ্কারভাবে জানে বা বিশ্বাস করে যে, তার কাজ তাকেই করতে হবে, কেউ তার কাজ করে দেবে না। যদি কেউ সঙ্গী হয় তবে সুস্বাগতম, সঙ্গী না হলে দুঃখ নেই। ইরানের নীতি এটাই। ইতিহাসও তাই বলে। যেমন ১৯৮-এর দশকের শুরুতেই ইরাক ইরানের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করেছিল সেই যুদ্ধে কার্যত ইরানের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব অংশ নিয়েছিল। তখন ইরাকের পক্ষে ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডাসহ পশ্চিমা সব দেশ। অন্যদিকে, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন বাথ পার্টির নেতা হওয়ার কারণে সোভিয়েত রাশিয়া থেকে শুরু করে কমিউনিস্ট ব্লকের অনেক দেশই ইরাককে সমর্থন দিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধুমাত্র সিরিয়া তখন ইরানের পক্ষ অবলম্বন করে। আর উত্তর কোরিয়া ইরানকে গোপনে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে। এইরকম একটা অবস্থার ভেতর দিয়েও আট বছর যুদ্ধ চালিয়ে ইরান যখন ইরাকের ভিতরে ঢুকে পড়ল তখন জাতিসংঘের উদ্যোগে ইরাককে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এসব দিক থেকে ইরানের সামনে এমন কোনো বাধা নেই যে কারণে তারা ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারবে না। এছাড়া, সামরিক শক্তির দিক দিয়ে ইরান এখন ইসরায়েলের চেয়ে মোটেই পিছিয়ে নেই বরং ওয়ার্ল্ড ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইরান। বিশাল ভূখণ্ডের দেশ ইরান, পাশাপাশি জনসংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এ দুটি বিষয় যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক শক্তির দিক দিয়ে ইসরায়েল পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধ হলেও ইরান নিজেও পরমাণু সক্ষম একটি দেশ। সাম্প্রতিক নানা তথ্য থেকে জানা যায় যে, ইরান এখন এমন মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে যা দিয়ে অল্প সময়ের প্রচেষ্টায় পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে সম্প্রতি কোনো কোনো মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে যে, ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণু থাকার কথা ঘোষণা করেছে, যদিও তা ইরান সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। ইরানের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, তারা বিস্ময়কর হামলা চালাবে এবং ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালাতে যায় তাহলে তারা অনুতপ্ত হতে বাধ্য হবে। এ থেকে দুটি ইঙ্গিত মেলে। একটি হচ্ছে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার সময় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে যা ইসরায়েলের জন্য বিপদের কারণ হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো ইসরায়েলের হাতে নেই। আর ইসরায়েল যদি জবাবে বড় কোনো হামলা চালাতে চায় বা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যায় তাহলে ইরানও পাল্টা এবং সমানুপাতিক ব্যবস্থা নেবে। ইরানের সাম্প্রতিক নানা বক্তব্য বিবৃতি থেকে আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে। এর সঙ্গে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে চাইলেও সে স্বাধীনতা থাকছে। কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার এবং নিশ্চিত, সেটি হচ্ছেÑ ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা হবে। ইসরায়েলই সেটা অনিবার্য করে তুলেছে।

লেখক : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version