ভারত কখনই দ্বিতীয় বাংলাদেশ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজনীতিবিদ ও সেখানকার ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশীদার টিপরা মোথা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রাদ্যোত কিশোর মাণিক্য দেববর্মা। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনোভাবেই ভারতকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ হতে দেওয়া যাবে না।’’
শনিবার ত্রিপুরায় অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমন মন্তব্য করেছেন দেববর্মা। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে বন্যা-কবলিত লোকজনের জন্য ত্রাণ পাঠাতে পারে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং এখানে এসে বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। ভারতকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ হতে দেওয়া যাবে না।’’
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেববর্মা বলেন, ‘‘বাংলাদেশিদের (অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের) অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ভারতে প্রবেশ করছেন। আমরা ভারতকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করতে দিতে পারি না তাদের।’’
তিনি বলেন, ‘‘১০০ জন অবৈধ অভিবাসী ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি মনে করি, এই বিষয়ে ভারত সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ জনসংখ্যার পরিবর্তন আমাদের দেশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক।’’
ত্রিপুরার এই রাজনীতিক বলেন, ‘‘ভারতকে যদি চারদিক থেকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশিদের অবৈধ অভিবাসন থেকে ত্রিপুরাকে রক্ষা করতে হবে।’’রাজ্যের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে দেববর্মা বলেছেন, ‘‘আমরা বন্যায় ভুগছি। এটা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়ানোর সময় নয়। অপরাধী যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং ধর্মের নামে কোনও সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে না।’’
এদিকে, গত রোববার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গত রোববার পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এসময় বাংলাদেশিদের প্রবেশে সহায়তা করায় দুই ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
সুত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য