উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় তাদের আকাশসীমা কিংবা সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছে তেহরান। আরব দেশগুলো এমন কোনওরকম পদক্ষেপ নিলে এর জবাব দেওয়া হবে বলে ইরান হুমকি দিয়েছে। ঊর্ধ্বতন এক ইরাকি কর্মকর্তা গতকাল বুধবার একথা বলেছেন।
গত সপ্তাহে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তেহরানে ইসরায়েলের পাল্টা হামলা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যে এই হুঁশিয়ারি এল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইরান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেÑ তেহরানের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরীয় কোনও দেশের যে কোনও পদক্ষেপ, তা আকাশসীমা বা সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার মাধ্যমে হোক, তেহরান এটি পুরো গ্রুপের নেওয়া পদক্ষেপ বলেই গণ্য করবে এবং সে অনুযায়ী জবাব দেবে। তিনি বলেন, এই বার্তায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া, এও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে- ইসরায়েলকে কোনওরকম সাহায্য করা; যেমন: ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে আঞ্চলিক কোনও দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বুধবার আলোচনার জন্য সৌদি আরব ও কাতারসহ অন্যান্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো সফর করছেন। কাতারে গত সপ্তাহে একটি এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনার সূত্র ধরেই আরও আলোচনার জন্য এ সফর করছেন আরাকচি। গত সপ্তাহের আলোচনায় উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে কোনওরকম সংঘাতের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকার ব্যাপারে তেহরানকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা নিয়েছিল। উপসাগরীয় অঞ্চলের এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেছেন, দোহায় গত সপ্তাহের বৈঠকে ইরান স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলের হামলার হুমকির মুখে আঞ্চলিক ঐক্যের ডাক দিচ্ছে এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর নিরপেক্ষতা তারা অতি কম বলেই মনে করে। তাছাড়া, ইরান এও বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ইসরায়েলের হামলার মুখে প্রতিটি উপসাগরীয় আরব দেশ কীভাবে সাড়া দেয় এবং ওই দেশগুলোতে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটি কীভাবে ব্যবহার হয়- তা নিবিড়ভাবে নজরে রাখবে তেহরান। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও সেনা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য