-->

যুক্তরাষ্ট্রে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই

জর্জিয়ায় আগাম ভোট শুরু

আন্তর্জাতিক ডেক্স
যুক্তরাষ্ট্রে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর কিছুদিন বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই। কয়েকটি রাজ্যে গতমাসেই আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আর এ সপ্তাহে আগাম ভোট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্য জর্জিয়ায়।

তবে, এবার ভোটে যে মার্কিনিদের আগ্রহ বেড়েছে, তা জর্জিয়ার ভোটগ্রহণের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ভোটে জর্জিয়ায় প্রথম দিনে ভোট দেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ভোটার।

সেখানে মঙ্গলবার সকালে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটের প্রথম দিনেই ভোট দেন ২ লাখ ৫২ হাজার ভোটার। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার ভোট প্রদানের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন।

-খবর ইউএস টুডের

 

৭টি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যের একটি জর্জিয়া। সেখানে মঙ্গলবার সকালে ভোটাররা সশরীরে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। তারা ব্যালটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট কে হবেন সে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তাছাড়া, রাজ্য এবং স্থানীয় নির্বাচনী প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ভোটাররা তাদের রায় দেবেন।

ক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুইজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ডিকালব কাউন্টির নির্বাচন পরিচালক স্মিথ বলেন, আমরা ঐতিহাসিক ভোটার উপস্থিতির জন্য প্রস্তুত। আমরা জানি এটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং সেভাবেই আমরা নির্বাচনকর্মীর ব্যবস্থা করেছি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনে ভোটারদের লম্বা লাইন এড়াতেই মূলত ভোটারদেরকে এই আগাম ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা। বহু ভোটারই নির্বাচনের দিনে ভিড় এড়াতে আগাম ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

আগাম ভোটে ভোটাররা মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া শুরু করেন এবং এই ভোটগ্রহণ চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচন পরিচালক স্মিথ বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।

জর্জিয়ায় দেশটির সবচেয়ে বেশি কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার আছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই কৃষ্ণাঙ্গ ভোটের জোরেই জয় পেয়েছিলেন জো বাইডেন। এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসও কৃষ্ণাঙ্গ ভোট দলে টানার চেষ্টা করছেন।

যদিও এই শ্রেণির মধ্যে তিনি স্পষ্টতই জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন। তবে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে এই ভোটারদের আরও উৎসাহিত করা প্রয়োজন বলেই মনে করছে হ্যারিসের প্রচারশিবির।

এ সপ্তাহে যে কেবল জর্জিয়াতেই আগাম ভোট হবে তা নয়, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনাতেও আগাম ভোট হবে। কিন্তু আইনসভায় বেশকিছু পরিবর্তন এবং হারিকেন হেলেনের ধাক্কার পর আগামী কয়েক সপ্তাহে অনেক ভোটারেরই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যেতে পারে।

জর্জিয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর নর্থ ক্যারোলাইনায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার। দোদুল্যমান এই রাজ্যগুলোর ভোটই নির্ধারণ করে দিতে পারে একজন প্রার্থীর জয়-পরাজয়।

কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোট টানতে দৌড়ঝাঁপ কমলাট্রাম্পের:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন বংশোদ্ভূত ভোট পেতে আরও তৎপর হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। পিছিয়ে নেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটারদের মধ্যে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। কিন্তু ট্রাম্প এই ভোটারদের মধ্যেও সুবিধানজনক অবস্থান তৈরি করছেন—এমন চিত্র উঠে এসেছে জরিপে। এরপর ডেমোক্র্যাটরা সতর্ক করে বলেছেন, নভেম্বরে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটারদের কেন্দ্রে টানতে কমলাকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, কমলার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ভালো করেছেন। ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও এই ভোটারদের মধ্যে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে যাচ্ছেন তিনি।

নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনার জরিপে দেখা যায়, কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটারদের মধ্যে কমলার প্রতি ৭৮ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয় ডেমোক্র্যাটদের প্রতি এই সমর্থন ছিল ৯০ শতাংশ।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version