-->

সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের দুয়ারে কমলা, ইউক্রেন বিতর্কে ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের দুয়ারে কমলা, ইউক্রেন বিতর্কে ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। গতকাল দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনে সমাবেশ করেছেন তিনি। এদিকে পিবিডি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন যুদ্ধসংক্রান্ত একটি মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, জাতীয়ভাবে ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ ভোটারদের সমর্থন পেতে দুই প্রার্থীর হয়ে উচ্চতর পর্যায়ের ব্যক্তি ও ধনকুবেররাও মাঠে নামছেন। যেমন পেনসিলভানিয়ায় ধনকুবের ইলন মাস্ককে বেশ কয়েকবারই ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের লা ক্রসে শহরে সমাবেশে অংশ নেন কমলা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রচারণার একেবারে শেষ ধাপের কাছাকাছি চলে এসেছি এবং শেষ পর্যন্ত এটি একটি হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হতে যাচ্ছে।’

পরে কমলা বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন খামখেয়ালি মানুষ। ওভাল অফিসে আবারও তাঁর পদচিহ্ন পড়লে তার পরিণতি খুব বাজে হবে।

উইসকনসিনের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর একটি গ্রিন বে। গতকাল সেখানেও সমাবেশ করেছেন কমলা। তিনি উইসকনসিনের তরুণ ভোটার ও শ্রমিকদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্প এরই মধ্যে একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে অভিবাসন, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। যদিও ওই পডকাস্টে ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করেছেন।

পিবিডি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি হলেন আমার দেখা সবচেয়ে সেরা বিক্রয়কর্মী। যতবার তিনি আসেন, আমরা তাঁকে ১০ হাজার কোটি ডলার করে দিয়ে দিই। ইতিহাসে আর কে এভাবে অর্থ পেয়েছেন? কখনোই কেউ নন। আর এর মানে এই নয় যে আমি তাঁকে সহযোগিতা করতে চাই না। কারণ, মানুষগুলোর জন্য আমার খারাপ লাগে। তাঁর কখনোই এ যুদ্ধ শুরু হতে দেওয়া উচিত হয়নি।’

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে তাঁর প্রচারশিবির। তাদের দাবি, ট্রাম্প আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বলেছিলেন। তবে কথাগুলোকে ইউক্রেনের প্রতি আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version