তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) রোববার (৩ নভেম্বর) আরও ২৯ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীরের সই করা এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়, যা মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশ্যে আসে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার আওতায় এসব সাংবাদিকের স্থায়ী ও অস্থায়ী কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে আছেন- টিভি টুডের মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ24 এর রাহুল রাহা ও জয়দেব চন্দ্র দাস, এটিএন নিউজের নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের আবেদ খান, নাগরিক টিভির দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার জ.ই. মামুন। এছাড়া বাসসের মো. ওমর ফারুক ও মধুসূদন মন্ডল, চ্যানেল আইয়ের হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদিম কাদির, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আশিষ ঘোষ সৈকত, দৈনিক বাংলার জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দবাজারের কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির নাসির উদ্দিন, একুশে টিভির অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির অঞ্জন রায়, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।
এর আগে, ২৯ অক্টোবর, আরও ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছিল পিআইডি, যাদের অধিকাংশই আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত।
এত অল্প সময়ের মধ্যে দুই দফায় কার্ড বাতিলের ফলে সাংবাদিক সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকদের অনেকে মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত তাদের পেশাগত কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে তাদের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য