এভাবেও ফিরে আসা যায়! রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের এক অনন্য নজির গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অতীতে মাত্র এক বারই এক প্রেসিডেন্ট ভোটে পরাজিত হয়েও পরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। সে অবশ্য ১৩২ বছর আগের ঘটনা। প্রায় দেড় শতক পর যুক্তরাষ্টের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসাবে ‘পরাজিত হয়েও বিজয়ী’ হলেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় বিজয়-ভাষণ দিতে উঠে ট্রাম্পকে পাশে নিয়ে তার রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট) জেডি ভ্যান্স বললেন, ‘দেশের ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হয়ে রইলাম।’ নিজের বিজয়কে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়ে উচ্ছ্বসিত ট্রাম্পও বললেন, ‘আমরা আমাদের সমালোচকদের ভুল প্রমাণিত করতে পেরেছি।’
আট বছর আগে ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য হোয়াইট হাউসে ঢোকার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু চার বছর পর ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট জো-বাইডেনের কাছে হার মানতে হয়েছিল তাকে। তারপর বিতর্কবিদ্ধ হয়ে একের পর এক মামলায় অভিযুক্ত হয়েও পুনরায় লড়াইয়ের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টিতে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মুখোমুখি হন তিনি। ভোটযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বেও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তথা যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিজকে হারিয়ে জয়ী হলেন ট্রাম্প। সব সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
ইতিহাস সৃষ্টি করা ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের রেখচিত্র অন্য অনেকের মতো খুব একটা মসৃণ নয়। ব্যবসার চেনা অঙ্গন ছেড়ে রাজনীতির আনকোরা ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল অতীত জীবনের নানা বিতর্ক। ২০১৬ সালের নির্বাচনে অনেককে খানিক চমকে দিয়েই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে হার মানতে হয় তাকে। তবে ওই পরাজয় সহজে মেনে নিতে পারেননি তিনি। চার বছর পরে ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের স্বাদ পেলেন। এক কথায়, উত্থানের পর পতন, পতনের পর আবার উত্থানের উদাহরণ হয়ে রইলেন সোনালি চুল, নীল স্যুট ও লাল টাইয়ের এই রিপাবলিকান রাজনীতিক।
ট্রাম্পের আগে আমেরিকায় প্রত্যাবর্তনের নজির গড়েছিলেন গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। নিউ ইয়র্কের এই ডেমোক্র্যাট ১৮৮৪ সালে খুব অল্প ব্যবধানে জয়ী হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ১৮৮৮ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট (পপুলার ভোট) বেশি পেয়েও হেরে যান তিনি। কিন্তু তারপরও রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি তিনি। ১৮৯২ সালে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী বেঞ্জামিন হ্যারিসনকে হারিয়ে পুনরায় জয়ী হন তিনি। ১৩২ বছর আগে ডেমোক্র্যাট ক্লিভল্যান্ড যে নজির গড়েছিলেন। এ বার সেই একই নজির গড়লেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। ১৩২ বছর পর রিপাবলিকান ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট কমালা হ্যারিজকে হারিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ফল ‘টাই’ করলেন।
চার বছর আগের এক পরাজয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন খাদের কিনারে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে, আঁততায়ীর বুলেট এড়িয়ে অধিকাংশ মার্কিন ভোটারের সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮টি ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেলেই চলে। সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলে ট্রাম্প জিতে নিয়েছেন ২৭৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩ ভোট। ফলাফলের শুরুতে যখন একের পর এক বিজয়ের খবর আসতে থাকে; তখন থেকেই লালে লাল রিপাবলিকান শিবির অবশ্য উৎসবে মেতে উঠেছিল। ২৬৬ ভোট নিশ্চিত হওয়ার পরপরই গত মঙ্গলবার রাতে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ওয়াচ পার্টির মঞ্চে হাজির হন ট্রাম্প। সমর্থকদের হর্ষধ্বনির মধ্যে ‘নজিরবিহীন ম্যান্ডেট’ দেওয়ায় আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তার এই জয়ে বিশ্বে পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন বিশ্ববাসী। অবশ্য তিনি বিষয়টি খোলাসাও করেছেন।
সব যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি: বিজয়ী ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি যুদ্ধ শুরু করব না, আমি যুদ্ধ থামাব। তার প্রথম মেয়াদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না, চার বছর আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াইনি। কেবল আইএসআইএসকে পরাজিত করেছি।
২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাসনামলে বিলিয়নেয়ার এই ব্যবসায়ী উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে দেখা করা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (ক্ষমতায় থাকা) ছিলেন। সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক এক সম্মেলনে কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন তিনি। এদিকে এবারের নির্বাচনের ফল আসার পর অনেকেই বলছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহয়তা বন্ধ করে দিতে পারেন ট্রাম্প। এ ছাড়া পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করা হয়। ফলে, ট্রাম্পের জয়ের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে এক বড় মোড় দেখা যেতে পারে। তবে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও আজকের বক্তৃতায় কোনো যুদ্ধের কথাই সরাসরি উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন তিনি। যদিও নেতানিয়াহুর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের। এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ বন্ধে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেন কি না, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
অভিবাসনের কী হবে: নির্বাচনি প্রচারের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছিলেন, জয় পেলে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা কাগজপত্রহীন অভিবাসীরাই তার এ কর্মসূচি নিশানা হবে।
‘আমেরিকার ইতিহাসে অভিবাসী বিতাড়নের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এটিই হবে’ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার আওতায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে আমূল রদবদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে তিনি অভিবাসন ইস্যুতে তার পরিকল্পনা জানিয়ে বলেছিলেন, কর্মক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক অভিযান চলতে পারে, সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার খরচ মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল কাজে লাগানো হতে পারে।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে আনুমানিক ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী। বছরে বছরে এই অভিবাসীদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্স বছরে কতজন অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে তার আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছিলেন, প্রতি বছর বের করে দেওয়া হতে পারে ১০ লাখ মানুষকে।
অভিবাসনের পক্ষে যারা সোচ্চার তারা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ হবে ব্যয়বহুল, বিতর্কিত ও অমানবিক। ফলে বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন কমিউনিটি বিপর্যস্ত হতে পারে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ জিতিয়েছে ট্রাম্পকে: ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিল ক্লিনটনের প্রচার কৌশলবিদ জেমস কারভিলের একটি উক্তি বিখ্যাত হয়ে আছে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মূলত প্রাধান্য পায় ‘অর্থনীতি আর বোকারা!’
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও অন্য কোনো বিষয়ের চেয়ে অর্থনীতিকেই বেশি আমলে নেয়। এবারের নির্বাচনি প্রচারের সময় বিভিন্ন জনমত জরিপে আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন, চারবছর আগের তুলনায় এখন তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন। সুতরাং দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাদের কাকে পছন্দ তা খুব স্পষ্টই ছিল। তিনি হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার ভোটের পর ফক্স নিউজ দোদুল্যমান তিন রাজ্য পেনসালভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ায় ট্রাম্পের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পর তিনি জয় ঘোষণা করেন। বাকি আরও ৪টি দোদুল্যমান রাজ্যে তিনি এগিয়ে ছিলেন। এরপর উইসকনসিনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২৭০ ইলোকটোরাল ভোটের ম্যাজিক নম্বর ছাড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প।
এডিসন রিসার্চ এর জাতীয় বুথফেরত জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, অর্থনীতি ইস্যুটিকে শীর্ষে রেখেছে ৩১ শতাংশ ভোটার। আর ৩৫ শতাংশ ভোটার দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ, অর্থনীতি আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর যেসব ভোটারের কাছে অর্থনীতিই প্রধান উদ্বেগের বিষয় তারা ব্যাপকভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। এ সংখ্যা ট্রাম্পের পক্ষে ৭৯ শতাংশ এবং হ্যারিসের পক্ষে ২০ শতাংশ। অন্যদিকে, গত কয়েকবছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের স্পষ্ট উদ্বেগ তাদেরকে ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার দিকে চালিত করেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কেবল অর্থনীতি নয়, মূল্যস্ফীতির বিষয়টি ট্রাম্পকে জেতাতে চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করেছে। ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছেন, গতবছরে তারা মূল্যস্ফীতির কারণে দুরবস্থায় ছিলেন। আবার প্রায় চারজনে একজন আমেরিকানই বলেছেন, তারা মূল্যস্ফীতির কারণে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গেছেন।
ভোটাররা বলেছেন, তাদেরকে মূল্যস্ফীতির কারণে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের অনেকেই ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছেন। এ সংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ। আর মারাত্মক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা বলা ৭৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। এডিসনের বুথ ফেরত জরিপের তথ্য বলছে, দেশজুড়ে ৪৫ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা চারবছর আগের তুলনায় এখন বেশি খারাপ গেছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এই ভোটাররা হ্যারিসকে ভোট না দিয়ে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে ৮০ শতাংশ ভোট। আর হ্যারিস পেয়েছেন ১৭ শতাংশ ভোট।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত জেলেনস্কি: ট্রাম্পের জয়ের পর প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির। তবে যুদ্ধ নিয়ে তিনি চিন্তিত। কারণ ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থসহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।
ইসরায়েলে উল্লাস: যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বন্ধু ইসরায়েল। ট্রাম্পের জয়ের পর দেশটির জনগণ উল্লাসে মেতে ওঠেন।
মলিন ডেমোক্র্যাট শিবির: ট্রাম্প যখন ইলেকটোরাল কলেজে এগিয়ে যাচ্ছিলেন; তখন থেকেই ডেমোক্র্যাট শিবির মলিন হয়ে পড়ে। রাত ১০টায় এ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রাম্প ২৭৯ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। যদিও বিজয়ের জন্য দরকার মাত্র ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস রাত ১০টা পর্যন্ত পরাজয় মেনে নেননি; কিংবা তিনি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাননি। তবে তিনি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেননি।
সিনেটেও রিপাবলিকানদের জয়জয়কার: পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটেও রিপাবলিকানদের জয়জয়কার। প্রতিনিধি পরিষদও তাদের দখলেই থাকছে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
ভোটগ্রহণ: গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসির ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। বিশাল দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ছয়টি টাইম জোন রয়েছে। ফলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সময়ের ব্যবধান রয়েছে। তাই সব রাজ্যে সময়কে সমন্বয় করে ভোট শুরু এবং শেষ হয়। ৭ কোটি ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। আলোচনার মূলে রয়েছেন বড় দুই দলের প্রার্থী কমলা ও ট্রাম্প। ঐতিহ্যগতভাবে তারাই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। কমলার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে লড়ছেন টিম ওয়ালজ আর ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকছেন জে ডি ভান্স। এবার আরও চারজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবার্টারিয়ান পার্টির চেজ অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল ওয়েস্ট ও রবার্ট কেনেডি জুনিয়র।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য