-->
গাজা-লেবানন যুদ্ধ

একত্রিত হচ্ছেন আরব ও মুসলিম নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
একত্রিত হচ্ছেন আরব ও মুসলিম নেতারা

গাজা এবং লেবাননে ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর নেতারা সোমবার সৌদি আরবে একটি সম্মেলনে মিলিত হবেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) গত রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এসপিএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি এবং লেবাননি ভূখণ্ডে বাড়তে থাকা সহিংসতা, বিশেষ করে ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসন আরব ও ইসলামিক নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

সম্মেলনটি গত বছরের নভেম্বরের আরব-ইসলামিক সম্মেলনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই সম্মেলনে রিয়াদে গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন অঞ্চলের বিপজ্জনক ও অভূতপূর্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এসপিএ জানিয়েছে, ‘এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোর ঐক্যের প্রয়োজন’।

সোমবারের এই সম্মেলনে সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, কাতার, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, এবং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও যোগ দেবেন আরব লিগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিবরাও।

তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং স্থায়ী ও ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।এ উপলক্ষ্যে রোববার সৌদি রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম আল-আখবারিয়া নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির রিয়াদে পৌঁছানোর দৃশ্য সম্প্রচার করেছে। সূত্র: আরব নিউজ

ইরান যাচ্ছেন সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান:সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ফায়াদ আল-রুওয়াইলি রোববার তেহরান সফর করবেন। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

ইরানের সংবাদমাধ্যম বলছে, সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়াদ বিন হামেদ আল-রুওয়াইলি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ হোসেইন বাঘেরির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প আরব দেশগুলো এবং ইরানের আঞ্চলিক চিরশত্রু ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নেন, যা 'আব্রাহাম চুক্তি' নামে পরিচিত।

সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন না করলেও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার গত কয়েক বছরে একাধিকবার ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, তেহরান ও রিয়াদ ২০২৩ সালের মার্চে চীনের মধ্যস্থতার মাধ্যমে সাত বছরের বৈরিতার পর সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version