মার্কিন ইতিহাসে হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিত। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে এই তরুণ নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। শুক্রবার এক ঘোষণায় ট্রাম্প এই তথ্য নিশ্চিত করেন এবং বলেন, "ক্যারোলিন অত্যন্ত দক্ষ, দৃঢ়চেতা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে, তিনি এই পদে অত্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমেরিকান জনগণের কাছে আমাদের বার্তা যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।"
ক্যারোলিন লেভিত ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২০২২ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হতে নির্বাচনে অংশ নেন, তবে জয়ী হননি। তাছাড়া, কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিকের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন, যাকে ট্রাম্প জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন।
একটি ফক্স নিউজ পডকাস্টে ক্যারোলিন বলেন, "আমি রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠিনি। নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি সাধারণ ব্যবসায়ী পরিবারে আমার শৈশব কাটে। কলেজে পড়াশোনার সময় রাজনীতিতে আগ্রহ জন্ম নেয়।" তিনি বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরে ন্যাশনাল প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়, রাজনীতি ও গণমাধ্যমের সাথে তাঁর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করার পর, ক্যারোলিন এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রশাসনে সর্বোচ্চ প্রেস সেক্রেটারি পদে নিয়োগ পেলেন। ট্রাম্পের প্রশাসনে তরুণদের প্রতি আস্থা দেখানোর একটি বড় উদাহরণ হিসেবে ক্যারোলিনের নিয়োগকে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা ট্রাম্পের প্রশাসনের ভবিষ্যতের জন্য একটি সৃজনশীল ও শক্তিশালী দল গঠনের সংকেত।
এখন থেকে ক্যারোলিনকে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে এবং তার দায়িত্ব আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে তার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তাকে এই দায়িত্বে সফল করতে সহায়তা করবে, এমনটাই বিশ্বাস করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য