-->

বাইডেনের শেষ বেলার সিদ্ধান্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!

ভোরের আকাশ ডেস্ক
বাইডেনের শেষ বেলার সিদ্ধান্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!

আর মাত্র দুই মাস পর ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিদায় বেলা এসে তিনি ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। এতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা হলে কড়া জবাব দেওয়ার হঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন হামলা চালালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া মনে করে- আমাদের ভূখণ্ডের গভীরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সিদ্ধান্তের অর্থ হলো- উত্তেজনা নতুন করে বাড়ানোর পাঁয়তারা করা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে ইউক্রেনকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘মুখে মুখে হামলা হয় না...ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিজেরাই কথা বলবে। খবর বিবিসি, সিবিএস নিউজ, আলজাজিরা ও রয়টার্সের।

প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ করছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এই যুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে অনেক বার জেলেনস্কি মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছেন বাইডেনের কাছে। কিন্তু বাইডেন তাতে সাড়া দেননি। কিন্তু শেষ সময়ে এসে তিনি এই অনুমতি দিলেন। তার এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার সূত্রপাত বলে মনে করছেন যুদ্ধ বিশ্লেষকরা। কেননা, ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের দিন বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নতুন যুদ্ধ শুরু করবেন না। তিনি সব যুদ্ধ থামিয়ে দিবেন। এমনকি এর আগে তিনি বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। ট্রাম্পকে পুতিনের ‘ঘনিষ্ঠ’ বন্ধু বলে থাকেন ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প এই যুদ্ধ থামিয়ে দিবেন বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এর আগে যদি যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে ট্রাম্প ফেল করবেন- এমনটা বিবেচনায় নিয়ে বাইডেন মার্কিন অস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। কেননা, যুদ্ধ বেঁধে গেলে তা থামানো কঠিন। এতে অনেক ধরনের হিসাব-নিকাশ থাকে।

বিবিসি বলছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালাতে এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো যাবে। এটা কিয়েভকে জানিয়ে দিয়েছে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন। এর আগে এ ধরনের হামলায় ওয়াশিংটনের সায় ছিল না। মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে কিয়েভকে হামলা চালানোর অনুমতি ইউক্রেন যুদ্ধের আরও সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে। তবে এমন একসময় মার্কিন প্রশাসন আগের এ নীতি থেকে সরে এলো; যখন মাস দুয়েকের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে ট্রাম্পের।

কেন অনুমতি দিলেন বাইডেন: যুদ্ধক্ষেত্রে এক বছরের বেশি সময় ধরে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম বা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন। তবে রুশ ভূখণ্ডে নয়, বরং ইউক্রেনের বাহিনী নিজেদের ভূখণ্ডের ভেতর রুশ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করত। এরই মধ্যে রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার বিমানঘাঁটিতে এবং জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে রুশ সামরিক স্থাপনায় এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে কখনোই রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি ওয়াশিংটন। চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত যেসব শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে লকহেড মার্টিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটা ৩০০ কিলোমিটারের বেশি (প্রায় ১৮৬ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। ইউক্রেন যুক্তি দিয়েছিল যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি না দেওয়া, পিঠের পেছনে হাত বেঁধে যুদ্ধ করতে বলার মতোই।

এখন ওয়াশিংটনের নীতি পরিবর্তনের বড় কারণ হতে পারে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কুরস্ক অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এসব সেনা যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করছে। ওই অঞ্চলটি গত আগস্ট থেকে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে গত রোববার তিনি বলেন, ‘মুখে মুখে হামলা হয় না...ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিজেরাই কথা বলবে।’

প্রভাব কেমন হবে: বর্তমানে কুরস্কের এক হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখলে রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী। এখন তারা ওই অঞ্চলের চারপাশে হামলা চালাতে পারবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রুশ বাহিনী ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে এমন হামলা শুরু করতে পারে। এখন ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কে রুশ সেনাবহর, অবকাঠামো, গোলাবারুদের মজুতে সরাসরি হামলা চালাতে পারবে। যদিও শুধু এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রের সরবরাহ হয়তো যুদ্ধের গতি বদলে দিতে পারবে না, তবে ইউক্রেনকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে।

এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিয়েভে নিযুক্ত একজন পশ্চিমা কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, আমি মনে করি না যে এটা যুদ্ধের নির্ণায়ক হবে। তবে এতে রাশিয়ার যুদ্ধব্যয় আরও বাড়তে পারে।

যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটবে: বাইডেন প্রশাসনের এত দিন একটাই ভয় ছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে দিলে যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøলাদিমির পুতিনও এ বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলার ঘটনাকে মস্কো-ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর দেশগুলোর ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’ হিসেবে বিবেচনা করবে।

ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত কুর্ট ভলকার বলেন, যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের পরিসর সীমিত রেখে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন অযৌক্তিকভাবে ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় একতরফা বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। তিনি বলেন, এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত ‘পুরোপুরি স্বেচ্ছাচারী’ এবং রাশিয়াকে উসকানি না দেওয়ার আশঙ্কা থেকে করা হয়েছিল।

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে: জো বাইডেন এখন রাজনৈতিক পালাবদলের সময় পার করছেন। ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাস দুয়েক আগে এসে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিতে পরিবর্তন আনলেন তিনি। জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর এমন নীতি অপরিবর্তিত রাখবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। যদিও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মিত্র এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের নীতি পরিবর্তনের কড়া সমালোচনা করেছেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, আমার বাবার শান্তি স্থাপন ও মানুষের জীবন বাঁচানোর সুযোগ পাওয়ার আগেই সামরিক শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্তরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে দিতে চায়।

পরবর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স বলেছেন, ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়া মার্কিন প্রশাসনের উচিত হবে না।

হবু মার্কিন প্রশাসনের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ইউক্রেনীয়দের। এ বিষয়ে ইউক্রেনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওলেক্সি গোনচারেঙ্কো বিবিসিকে বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করছি, তিনি (ট্রাম্প) এসে সিদ্ধান্ত বদলাবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে কিইভকে ওয়াশিংটনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ইউক্রেইনের যুদ্ধ আরও তীব্র হবে আর তা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ রুশ আইনপ্রণেতা। রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের বিষয়ে ওয়াশিংটনের বড় ধরনের নীতি পরিবর্তনের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা ও একটি সূত্র যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রোববার প্রকাশ করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য আন্দ্রি ক্লিশাস টেলিগ্রাম অ্যাপে বলেছেন, পশ্চিমা সংঘাত এমন মাত্রার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তা সকালের মধ্যে ইউক্রেইন রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত করার মধ্য দিয়ে শেষ হতে পারে।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির প্রথম উপপ্রধান ভøলাদিমির জবারফ বলেছেন, মস্কোর প্রতিক্রিয়া হবে তাৎক্ষণিক।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো অত্যন্ত বড় পদক্ষেপ এটি। সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøলাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেইনকে পশ্চিমের তৈরি দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানার অনুমতি দিলে পশ্চিমের রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করা হবে, এই পদক্ষেপে সংঘাতের ধরন ও আওতা পাল্টে যেতে পারে। পুতিন বলেছেন, নতুন হুমকির ভিত্তিতে রাশিয়া ‘উপযুক্ত সিদ্ধান্ত’ নিতে বাধ্য হতে পারে। রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দ্যুমার বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান লিওনিদ স্লুসস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানতে কিইভকে দেওয়া ওয়াশিংটনের অনুমতি কঠোরতম প্রতিক্রিয়ার দিকে নিয়ে যাবে। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানলে অনিবার্যভাবে সংঘাতের গুরুতর বৃদ্ধি ঘটবে আর তা আরও গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া মনে করে, আমাদের ভূখণ্ডের গভীরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সিদ্ধান্তের অর্থ হলো- উত্তেজনা নতুন করে বাড়ানোর পাঁয়তারা করা। বিদায় বেলা রুশ ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন আসলেই যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় ও কিয়েভকে আসলেই এমন সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তা অবশ্যই নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির নীলনকশা ছাড়া কিছুই না। এমন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িত ছিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস ব্যবহার করতে যাচ্ছে, যার সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ৩০৬ কিলোমিটার। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেশ কিছুদিন ধরে এই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতির জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন, বিশেষত রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য। ফরাসি সংবাদপত্র লে ফিগারো জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও ইউক্রেনকে তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি দেবে। আল জাজিরার কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস বেজ জানিয়েছেন, এই পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্য ইউক্রেনকে সহায়তা করা, বিশেষ করে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে।

বাইডেন দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিতে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি যুদ্ধের পরিস্থিতি রাশিয়ার দিকে মোড় নেওয়ার পর তার অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version